অবিলম্বে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

অবিলম্বে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ এবং তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মিয়ানমারের প্রতি চাপ দিতে আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যেন কষ্ট না হয়, তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কেউ যেন ভাগ্য গড়তে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।

এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে আজ ১১টা ৩০মিনিটে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় দেশটির একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ নানা নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নির্মম নির্যাতন, স্বজনের মৃতদেহ রেখে টানা না খেয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক নতুন,পুরাতন মিলে ৭লাখ রোহিঙ্গা।




পুশইন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদে রেজুলেশন

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন ও পুশইন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়ার আহবান জানিয়ে জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতভাবে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করেছে।
এ রেজুলেশনে মিয়ানমার সরকারের উপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজুলেশনটি জাতিসংঘ, মায়ানমারসহ বিশ্বের জাতিসংঘের সব সদস্য দেশে প্রেরণ করা হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে সংসদে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ ও তাদের ফিরিয়ে নিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে আনীত ডা. দীপুমনির প্রস্তাবের (সাধারণ) ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে এই রেজুলেশন গৃহীত হয়। সরকার ও বিরোধী দলের ২২ জন সংসদ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। এরআগে রেজুলেশন গ্রহণের ফলে কী লাভ হবে জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, রেজুলেশনটি জাতিসংঘ, মায়ানমারসহ বিশ্বের জাতিসংঘের সব সদস্য দেশে প্রেরণ করা হবে। এর মাধ্যমে বিষয়টি আইনগত ভিত্তি পাবে এবং মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক সমাজ চাপ প্রয়োগ করার নৈতিক দায়ের সৃষ্টি হবে।
প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু ও ড. আলমীগর খান মহিউদ্দীন, জাসদের নির্বাহী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম, এ বিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাসদের বেগম শিরীন আক্তার, ফখরুল ইমাম, মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহহাব (অব:), কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সারোয়ার কমল প্রমুখ।
কার্য প্রণালী বিধির ১৪৭ (১) ধারা অনুসারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপুমনি এই প্রস্তাব গ্রহণের জন্য রবিবার নোটিশ প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর অব্যাহত নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ, তাদের নিজ বাসভূমি থেকে বিতারণ করে বাংলাদেশে পুশইন করা থেকে বিরত থাকা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা গ্রহণে মিয়ানমার সরকারের উপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো ক‚টনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহবান জানানো হোক।
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি মানুষ হিসেবে। মুসলমান হিসেবে। ভারত এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন রোহিঙ্গারা আমাদের মেহমান। তবে যেভাবে তারা আসছে, তা আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। ওদের সাথে অস্ত্র চলে আসছে। মাদকও আসছে। এ বিষয়ে সরকারের আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত। তাদের একটি জায়গায় রাখা উচিত। পরিচয়পত্র দেওয়া উচিত। চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যবস্থা করা উচিত। অবশ্য এ বিষয়ে এরমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যেসব উদ্যো নেওয়া হয়েছে এবং হবে এর মাধ্যমে সমাধানের একটি পথ বেরিয়ে আসবে। তিনি নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সমালোচনা করে বলেন, তিনি কী করে এমন অমানবিক কাজ করতে পারেন।
মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, রোহিঙ্গাদের মানুষ হিসেবে আশ্রয় দিয়েছি। মুসলমান হিসেবে নয়। ওদের সিদ্ধান্ত, ‘কিল দেম অল বার্ণ দেম অল’। তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পাপুয়া নিউ গিনিতে আপনারা ৯৯ সালে ভোটাধিকারের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ওদের চামড়া সাদা ছিল। রোহিঙ্গাদের চামড়া কালো বলে ওদের আপনারা মানুষই মনে করছেন না। কিন্তু ওরাও মানুষ ওদের নাগরিকত্ব ও ভোটধিকারের ব্যবস্থা করুন। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছেন। ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশকে বিপদ মুক্ত রাখুন। আমরা সংঘাত চাই না।
ডা. দীপুমনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর অব্যাহত নির্যাতন নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করায় সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির লাখ লাখ লোক ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিষ্ঠুর নির্মমতার শিকার কেউ অর্ধমৃত, কেউ গুলিবিদ্ধ, কেউ বা আবার ক্ষত বিক্ষত হাত পা নিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু কোনো মতে জীবন নিয়ে ঢলের মতো প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। নাফ নদীতে ভাসছে সারি সারি রোহিঙ্গার লাশ। নিজ ভূমি থেকে রোহিঙ্গা জন গোষ্ঠিকে জাতিগতভাবে নির্মূলের লক্ষ্যে চালানো অব্যাহত নৃশংসতার গর্ভবতী মা বোনসহ দুগ্ধপোষ্য শিশুকেও রেহায় দিচ্ছেন এ সকল বাহিনী। তাদেরকে আখ্যায়িত করা হচ্ছে বাঙালি সন্ত্রাসী হিসেবে। এদের প্রতিটির বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যাতে নিজভূমিতে ফিরতে না পারে। মানবিক কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্দশাগ্রস্থ এই জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অধিবাসী। তারা ৫’শ বছরের অধিক সময় ধরে আরাকান রাজ্যে বসবাস করছেন। তিনি আরাকান রাজ্যের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে আরাকান ছিল স্বাধীন মুসলিম রাজ্য। ১৪০৪ সাল থেকে ১৬১২ সাল পর্যন্ত ১৬ জন মুসলিম সম্রাট আরাকান শাসন করেছেন। রাজা বোধাপোয়া ১৭৮৪ সালে আরাকান দখল করে তৎকালীন বার্মার সঙ্গে যুক্ত করেন। ১৯৪৮ সালে ইউনিয়ন অব বার্মা বৃটিশদের কাছ থকে স্বাধীনতা লাভের সময়ও আরাকান বার্মার অংশ থেকে যায়।




Kolkata stands by Rohingyas, city blockaded by huge procession

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে ভারতের কলকাতায় মিছিল করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানিয়ে সমাবেশ হয়েছে ধর্মতলায়।
এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় বাম ও কংগ্রেসও।

মিছিলের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। চরম নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

রোহিঙ্গাদের ঘাড়ধাক্কা দিলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকেও ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হবে। এই স্লোগান উঠল ধর্মতলার সমাবেশ থেকে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধিকেও মঞ্চে উপস্থিত করা হয়। তিনি মিয়ানমার থেকে এসেছেন। সে দেশে তাকে কী পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এটা মুসলমানদের সমস্যা বলে এখানে আসিনি। এটা মানবতার লজ্জা। মানবতার জন্যই এখানে এসেছি। ‘ একই সুর শোনা যায় সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও।




রামগতিতে পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রের ১বছর কারাদন্ড

Lakshmipur:

লক্ষ্মীপুুরের রামগতিতে প্রবাসী বড়ভাই আনোয়ার হোসেনের ফাযিল পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনকে ১বছর কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষা চলাকালীন সময় আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অজিব দেব তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র ও রামগতি পৌরসভার চর সেকান্তর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফাযিল ২য় বর্ষের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন তার বড় ভাই ফাযিল ৩য় বর্ষের ছাত্র প্রাবসী আনোয়ার হোসেনের পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। সকালে ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাকে এক বছরের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করে।

 

 




UN peacekeeping forces should be sent to the Rakhine region of Myanmar…………………..A.S.M. Abdur Rab

 

 

 

A human chain and protest rally was held in front of the National Press Club on Sunday, August 10, at 4 pm, in protest of the indiscriminate killing, torture and deportation of Rohingyas in Myanmar and their forcible transfer to Bangladesh. JSD President ASM Abdur Rob, Bikalp Dhara Bangladesh Secretary General Major (Retd) MA Mannan, Nagrik Oikya Convener Mahmudur Rahman Manna, JSD General Secretary Abdul Malek Ratan, Gano Forum Executive President Adv. Subrata Chowdhury, Nagrik Oikya Central Leader Mr. Mominul Islam, Bikalp Dhara Bangladesh Leader Shah Ahmed Badal, JSD Leader Ataul Karim Faruk, Gano Forum Leader Mostaq Ahmed, among others, will speak at the event. Jatiya Samajtantrik Dal-JSD President ASM Abdurrab said in his speech that Myanmar has been forcing millions of Rohingyas to enter Bangladesh through barbaric killings, murders, rapes and tortures under various pretexts at different times. Currently, this problem has taken a serious shape. They are not taking into account any diplomatic agreement or investigation report of the Anan Commission. Stopping Myanmar from this inhuman and arrogant behavior and returning millions of Rohingya refugees who have taken refuge in Bangladesh to their homeland is the only way to stop the Rohingyas.
UN peacekeeping forces should be sent to the Rakhine region of Myanmar to ensure the passage. Rob said that there are mistakes and limitations in the government's diplomatic activities in this regard. The government must overcome the urgency. JSD General Secretary Abdul Malek Ratan said that the problems created by the Rohingya issue have taken the form of a national crisis. In such a situation, the government must immediately forget about party interests and take initiatives to build national unity.




Prime Minister goes to Ukhia to monitor Rohingya situation

Prime Minister Sheikh Hasina will visit Ukhia, Cox's Bazar, on Tuesday to observe the plight and current situation of the Rohingyas who have fled to Bangladesh in fear of their lives after being subjected to torture in Rakhine, Myanmar.

He made this statement while discussing the Rohingya issue with high-level government and party officials at Ganabhaban on Sunday.

Since the early hours of August 25, clashes between border police and members of the Arakan Rohingya Salvation Army (ARSA) began in Rakhine. More than a hundred people were killed in the incident. Of these, 12 were members of the security forces and the rest were members of Ansar. This incident led to the killing of civilians, rape, and various tortures, including burning houses, in the name of an operation in Myanmar's Rakhine state. Since then, thousands of Rohingya have fled to Bangladesh every day.

The number of people fleeing Myanmar has now exceeded 700,000, State Minister for Foreign Affairs Muhammad Shahriar Alam said in a Facebook status on Sunday.

He wrote on Facebook, 'The number of people coming from Myanmar has exceeded 700,000. Of which, about 300,000 have come in the last 15 days.'‘




মিয়ানমারে গনহত্যার প্রতিবাদে কমলনগরে বিক্ষোভ সমাবেশ

লক্ষ্মীপুর : মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও গনহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর হাজিরহাট বাজারে জাতীয় ইমাম সমিতির উদ্যেগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়। এতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জায়েদ হোছাইন ফারুকী, জাতীয় ইমাম সমিতির কমলনগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা আলী হোছাইন, ওলামালীগের কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক মাওলানা ই¯্রাফিল, হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান, হাজিরহাট জামে মসজিদের খতিব ক্বারী গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ হেলালীসহ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। পরে মায়ানমারের মুসলমানের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।




লক্ষ্মীপুরে ১৪টি বাইসাইকেল উদ্ধার, আটক ৬

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও হাট-বাজার থেকে চুরি যাওয়া ১৪টি বাইসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় চোর চক্রের মূলহোতা সোহেল (১৯) ও তার ভাই রুবেলসহ (১৭) ছয় কিশোরকেও আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটক সোহেল ও রুবেল টুমচর এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
অন্যরা একই এলাকার ইসমাইলের ছেলে সাকিল (১৬), জামাল হোসেনের ছেলে রিপাত (১৭), মৃত নোমানের ছেলে ইয়াসিন (১৫), জাকির হোসেনের ছেলে ফাহিম (১৮)।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম রেজা বলেন, লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার থেকে চুরি যাওয়া ১৪টি বাইসাইলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়।
চোর চক্রের মূলহোতা সোহেল-রুবেল দুই ভাইসহ ছয় কিশোরকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।




লক্ষ্মীপুরের যুবক শাহা আজিজ ৭মাস ধরে নিখোঁজ

 

Lakshmipur:

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মো. শাহা আজিজ (২৮)নামের এক যুবক গত ৭মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারেরলোকজন আতœীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানেখোঁজলেও তার সন্ধান পায়নি। এব্যাপারে রামগতি থানায় একটিসাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।নিখোঁজ যুবক শাহা আজিজ রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছাইউনিয়নের চর কোলাকোপা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।তার গায়ের রং ফর্শা, মুখমন্ডল গোলাকার, উচ্চতা ৫ফুট ৪ইঞ্চি,নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিলো জিন্সের প্যান্ট ও সাদাশার্ট। সে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। আজিজ অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত পড়া লেখা করেছেন।সাধারণ ডায়েরি ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে২৮ ফেব্রুয়ারি শাহা আজিজ বাড়ি থেকে চাকরির খোঁজতেচট্টোগ্রামে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ।অনেক খোঁজখোজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। আজিজের বড় ভাই রিপন মাঝি বলেন, আজিজ নিখোঁজ হওয়ার পরথেকে অনেক খোঁজাখোজি করেও না পেয়ে গত ০১ আগস্ট রামগতিথানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন।




লক্ষ্মীপুরে লেগুনা উল্টে ৫ মাদ্রাসা ছাত্র আহত

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে বেপরোয়া গতির একটি লেগুনা উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে ৫ মাদ্রাসা ছাত্র আহত হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের ভবানীগঞ্জ কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ফেনীর আজিজিয়া সুলতানুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র জুনাইদ (১০), রাকিক (১১), মো. রাকিব হোসেন (১০), মেহেদী হাসান (১১) ও আরিফ (১০)। আহত ছাত্রদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। তারা কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের চর সামচ্ছুদ্দিন গ্রাম ও মতিরহাট এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনা কবলিত অন্যান্য ছাত্রদের কাছ থেকে জানা গেছে মতিরহাট থেকে রিজার্ভ করা লেগুনা দিয়ে ফেনীর ওই মাদ্রাসা যাচ্ছিল তারা; পথে ভবানীগঞ্জ কলেজের সামনে গেলে দ্রুত গতির লেগুনাটির নিয়ন্ত্রণ হারায় চালক; এতে লেগুনা রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে ৫ ছাত্র আহত হয়। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার উপরির্দশক (এসআই) ফারুক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে খোজখবর নেয়া হচ্ছে।