Case filed against 215 BNP leaders and activists for vandalizing AL office in Kamalnagar

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও টেবিল-চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি’র ২১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে রাতেই মামলা দায়ের করা হয়।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। অপরদিকে, বিএনপির দাবি হামলা ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার বাদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা হাজিরহাট বাজারে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখিত মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, রাহাত, জাহের, হেলাল, রাসেল, রাকিব, দোলন, দেলোয়ার, মোরশেদ, দেলোয়ার হোসেন মানিক, , মাইন উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল, নাজিম মেম্বার ও বেলাল।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় তাদের চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কমলনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে রাতের আধাঁরে তারাই তাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’চারটি চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত কর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




এই প্রথম চাঁদে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে জাপান

টোকিও-ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আইস্পেস প্রথমবারের মতো চাঁদে মিশন পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যদি সফল হয়, তাহলে এটিই হবে জাপানের কোন মহাকাশযানের চাঁদে প্রথম অবতরণ।

রোববার জাপানি স্টার্টআপের ডিজাইন করা একটি মহাকাশযান স্পেসএক্স রকেটে উড্ডয়ন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে মহাকাশযান যাত্রা শুরু করে। খবর: আল জাজিরা

জাপানি ভাষায় মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাকুতো-আর’, যার অর্থ ‘সাদা রঙের খরগোশ’। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এটি চাঁদে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্টার্টআপের সিইও তাকেশি হাকামাদা এক বিবৃতিতে জানান, প্রথম মিশনে চাঁদের সম্ভাবনা যাচাই করে সেটাকে একটি শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করার ভিত্তি স্থাপন করবে। কোম্পানিটি গুগলের লুনার এক্সপ্রাইজ প্রতিযোগিতায় পাঁচজন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি ছিল, যাদের ২০১৮ সালের মধ্যে চাঁদে অভিযান পাঠানোর কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত তারা অভিযান শুরু করতে সক্ষম হয়।

স্থানীয় সময় রাত ২টা বেজে ৩৮ মিনিটে হাকুতো-আর অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানে স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানের ফ্যালকন নাইন মডেলের রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে ।মহাকাশযানে রয়েছে জাপানি স্পেস এজেন্সির একটি ছোট রোবট, কানাডা ভিত্তিক এক কোম্পানির ফ্লাইট কম্পিউটার এবং নাসার ছোট একটি লেজার পরীক্ষার যন্ত্র।




Jamaat Ameer Shafiqur arrested

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। প্রথমে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। পরে গ্রেফতার দেখায় সিটিটিসি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিককে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

এর আগে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার পেজে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কী কারণে বা কোন মামলায় ডা. শফিকুরকে আটক করা হয়েছে, তিনিও সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি।

ডিসি মো. ফারুক হোসেনের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার আগে ডা. শফিকুর রহমানকে আটকের বিষয়ে জানতে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা করে বাংলানিউজ। তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি ছিলেন না।

একটি মাধ্যম থেকে জানা যায়, ভোরে আটকের পর রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জামায়াতের আমিরকে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা দাবীতে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় দলটি। এর আগে গত ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ।




Pulled 4 days, the country's lowest temperature Tetulia in

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব–উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা ৪ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে বিগত কয়েক দিন ধরে সকাল সকাল ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দিন ও রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্যের সৃষ্টি হচ্ছে।

এর আগে বিগত ১০ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ আবারও ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশার পরিমাণ কমে গিয়ে কয়েক দিন ধরে সকাল সকাল দেখা মিলছে সূর্যের। তবে রাতভর উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ছে এই জনপদের মানুষ।

যদিও ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। নভেম্বর শেষ হয়ে এলেও দু’রকম আবহাওয়া অনুভব করছেন স্থানীয়রা। সকালে কুয়াশা থাকার কথা থাকলেও ঝকঝকে রোদের সকাল। সকাল ৯টার পর থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। এ জেলায় দিনে-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্করা।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন,তেঁতুলিয়ায় টানা ৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। যা সামনের দিকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।




গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে যারা

বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াই পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। পাঁচ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা পাঁচটি। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে চার গোল করে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন আলবেসেলিস্তা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও আরেক ফরাসি ফরোয়ার্ড অলিভার জিরুদ।

এই তালিকায় তিনটি করে গোল করে আরও আছেন ইংলিশ ফুটবলার বুকায়ো সাকা ও মার্কাস রাশফোর্ড, স্পেনের আলভারো মোরাতা, সেলেসাও তারকা রিচার্লিসন ও পর্তুগালের গনজালো রামোস। তবে শেষ আট থেকে তাদের দল বিদায় নেয়ায় গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন এমবাপে, মেসি ও জিরুদ।

২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি। সেবার তার পা থেকে এসেছিল চার গোল। এবারও দারুণ ছন্দে আছেন মেসি। নিজে যেমন গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন। তাই এবারও সেরা হওয়ার দৌড়ে বেশ এগিয়ে থাকছেন মেসি। তাছাড়াও আর একটি গোল করলে নাম লেখাবেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডে।

অন্যদিকে ফরাসি তারকা এমবাপেও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। পাঁচ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত তার গোল ৫টি। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সকারুজদের বিপক্ষে ১ গোল করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ড্যানিশদের সঙ্গে জোড়া গোল করেন। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও করেন ২ গোল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি এই পিএসজি তারকা। তাছাড়াও গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে মেসির সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ফ্রান্সের জিরুদ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। শেষ আটে পোলিশদের বিপক্ষে করেন এক গোল। কোয়ার্টারে তার গোলেই ইংলিশদের হারিয়েছে ফ্রান্স। তারও সুযোগ আছে গোল্ডেন বুট জেতার।




Brazil is supporting Argentina in the semi-finals!

ব্রাজিলের মিশন হেক্সা মাঝপথে থেমেছে। তবে বিশ্বকাপ জয়ের লড়াইয়ে এখনও টিকে আছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। ফুটবল মাঠে দুই দেশ চির-বৈরি হলেও, লাতিন প্রসঙ্গে তারা একাট্টা।

তার নজির আবারও দেখা যায়। নিজেরা আসর থেকে বাদ যাওয়ার পর এবার আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন দিচ্ছে ব্রাজিল। কারণ, তারা চায় বিশ্বকাপের শিরোপা লাতিনদের হাতেই উঠুক।

স্পোর্টস সেন্টাল ব্রাজিলে দেশটির ফুটবল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফের্নান্দো সার্নে আর্জেন্টিনার প্রতি সমর্থন বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের একতা বজায় রাখতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবাই আর্জেন্টাইন। আমি আশা করি, তারা বিশ্ব সেরার ট্রফি লাতিন আমেরিকায় নিয়ে আসবে।’ বিশ্বকাপ শুরুর পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও একইরকম কথা বলেছিলেন, যদি তারা বিদায় নেন তাহলে ব্রাজিলকে সমর্থন দেবেন।




EC preparing for elections in seats vacated by BNP

As part of the movement, the BNP has given up seven of its seats in parliament. Of these, six will be directly voted for and one seat is reserved. The Speaker has already declared the seats vacant. Now, the Election Commission has started the process of by-elections in those seats. The schedule of voting in these seats may be announced this week.

Talking to reporters at his office in Agargaon's Nirban Bhaban on Monday (December 12), Election Commissioner Md. Alamgir said that the Election Commission will hold an informal meeting next Thursday (December 15). There, the schedule for the by-elections to the vacant seats of BNP MPs may be announced.

Responding to journalists' questions, EC Alamgir said, "The Election Commission Secretariat has received the gazette declaring the seats vacant after the resignation of BNP MPs. The next procedure is that we will hold a meeting. In the meeting, we will decide when the elections will be held and announce the schedule."

Md. Alamgir said, 'We will give the schedule very soon, InshaAllah. Since it has to be done within 90 days. The Chief Election Commissioner and another Election Commissioner are out of Dhaka today. They will be there tomorrow. They may come the day after tomorrow. Then we may sit in an informal meeting on Thursday. We may give the minimum time that has to be given. We will not wait for 90 days. Since the next general election is a little more than a year away. Accordingly, we will give it 90 days in advance.' There were seven BNP MPs in the current parliament. Of these, one is from a reserved seat and six were directly elected. There were already rumors that BNP MPs would resign from parliament. Their resignations were officially announced at the party's Dhaka divisional rally last Saturday.

The next day, Sunday, BNP MPs went to Speaker Dr. Shirin Sharmin Chaudhury and submitted their resignations. Later, the Parliament Secretariat informed that their seats had been declared vacant. Stating that they were not feeling any pressure over the resignation of BNP MPs, the commissioner said, "We are not feeling any pressure. Our job is to be referees. We will keep the field ready, the gallery ready. We will keep everything ready for the players to come and play."

Alamgir said, "Until the field arrives, the responsibility lies with those who organize it. The government and politicians. The Election Commission has no role in this matter. We will prepare the field, build the gallery."




Lottery ceremony for admission to sixth grade of Government Technical High School in Begumganj

Md. Badiuzzaman (Tuhin), Noakhali Correspondent:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি লটারি উপজেলা মিলনায়তনে ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন আরাফাত বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নোয়াখালীর খ্যাতনামা চিকিৎসক ডেন্টাল সার্জন ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আ,লীগ নেতা সামছু, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ পএিকা
বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ রিয়াজুল সোহাগ,
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃগাউছুল আজম পাটোয়ারী সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সহ প্রমুখ।




Digital Bangladesh Day celebrated at Charbhadrasan

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধঃ

চরভদ্রাসনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন

“প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি “‘ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার(১২ ডিসেম্বর) সারাদেশে ন্যায় চরভদ্রাসনেওউদযাপিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, চরভদ্রাশন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেওয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর, উপজেলা প প অফিসার রমেশ দাস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ জিয়াউল হক, এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী সাগর আহমেদ, চরভদ্রাসন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আরা পারভীন,সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন ও আবুল কালাম প্রমুখ।




In the world to maintain peace love

শয়তানের প্ররোচনাতেই মূলত সংসারের শান্তি দূর হয়। ঘরে লেগে থাকে অশান্তি ও কলহ-বিবাদ। শয়তানের কাছে পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট করার চেয়ে বড় খুশির খবর নেই। তেমনই এক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘শয়তান পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে, তারপর (পুরো বিশ্বে) তার বাহিনী পাঠিয়ে দেয়। আর (ওই শয়তান সদস্য) তার সবচেয়ে বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত, যে (মানুষের মাঝে) সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। শয়তান সিংহাসনে বসে সবার ঘটানো ফেতনার বর্ণনা শোনে। একজন এসে বলে আমি অমুক কাজ করেছি, শয়তান বলে তুমি তেমন কোনো কাজ করোনি। এভাবে শয়তান তার পাঠানো অন্যদের (শয়তান সদস্যদের) মন্দ কাজের বিবরণ শুনতে থাকে। অতঃপর একজন এসে বলে- ‘আমি অমুকের সঙ্গে ধোঁকার আচরণ করেছি, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। এ (ফেতনার) কথা শুনে শয়তান তাকে তার কাছাকাছি (বুকে) টেনে নেয়। আর বলে- তুমিই বড় কাজ করেছ। হাদিস বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, অতঃপর শয়তান তাকে তার বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়।’ (মুসলিম: ৭২৮৪; আহমদ: ১৪৩৭৭)

অতএব সংসারে শান্তি বজায় রাখতে হলে শয়তানের ধোঁকা-প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আর শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচতে কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী আমল ও দোয়ার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে যেসব দোয়া ও আমল করা জরুরি তা হলো-

১) ঘরে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া: বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেই সালামের পর সুন্নতের দিকনির্দেশনা মোতাবেক এ দোয়া পড়া- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাউলিজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি; বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা; ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি।’ (আবু দাউদ: ৫০৯৬)

২) পরিবারে সালামের প্রচলন করা: পরিবারের কোনো সদস্য বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেই ঘরে অবস্থানরত পরিবারের অন্য লোকদের সালাম দেওয়ার প্রচলন চালু করা। এটি কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশ। আর এতেই রয়েছে কল্যাণ। আল্লাহ তাআলার নির্দেশ-
فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون ‘যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম করবে অভিবাদন স্বরূপ যা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র। (সুরা নূর: ৬১)। রাসুলুল্লাহ (স.)আনাস (রা.)-কে বলেন, ‘হে বৎস, যখন তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরবে, তখন তাদের সালাম দেবে। এটা তোমার ও তোমার ঘরবাসীর জন্য বরকতের কারণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮)

৩) খাবারগ্রহণের আগে-পরে দোয়া পড়া: খাবার গ্রহণের আগে পরে দোয়া পাঠ করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও ভক্ষণ করে।’ (মুসলিম: ৫৩৭৬) তাই খাওয়া বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে শুরু করতে হবে। অতঃপর এই দোয়াটি পড়া- اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَ اَطْعِمْنَا خَيْراً مِّنْهُ ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা- ফী-হি ওয়া আত্বইমনা খাইরাম্ মিনহু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মেশকাত: ৪২৮৩)

খাবারগ্রহণ শেষে এই দোয়া পড়া—الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়া সাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন।’ (আবু দাউদ: ৩৮৫০)

৪) সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘সবকিছুরই একটি চুড়া থাকে আর কোরআনের চুড়া হল সুরা আল-বাকারা। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যে বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করে না।’ (তিরমিজি: ২৮৭৭)

৫) অশ্লীল বিনোদন থেকে পরিবারকে মুক্ত রাখা: ঘর ও পরিবার-পরিজনকে গান-বাজনা এবং গান-বাজনার সরঞ্জাম থেকে মুক্ত রাখা শান্তির অন্যতম উৎস। কেননা গান-বাজনা হলো শয়তানের আওয়াজ। শয়তানের উদ্দেশে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ বলেন চলে যা, অতঃপর তাদের মধ্য থেকে যে তোর অনুগামী হবে, জাহান্নামই হবে তাদের সবার শাস্তি-ভরপুর শাস্তি। তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ (বাদ্য-বাজনা) দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর, তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে শরিক হয়ে যা এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দে। ছলনা ছাড়া শয়তান তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয় না।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: ৬৩-৬৪)

আরও পড়ুন: জাহান্নামের আগুন থেকে পরিবারকে বাঁচাবেন যেভাবে

আল্লাহর জিকির যেমন শয়তানকে দূরে রাখে তেমনিভাবে গান এবং বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ রহমতের ফেরেশতাগণকে দূরে রাখে। আর ঘর থেকে যখন ফেরেশতা বের হয়ে যায়, তখন সেখানে শয়তান তার রাজত্ব কায়েম করে। এভাবে সংসার থেকে শান্তি দূর হয়ে যায়।

৬) ঘরে কুকুরের প্রবেশ থেকে সাবধান থাকা: ঘরকে কুকুরের প্রবেশ থেকে হেফাজত করা। হাদিসে এসেছে- ‘যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।’ (নাসায়ি: ৫৩৪৭-সহিহ)

৭) ঘরে ছবি ও জীব-জন্তুর মূর্তি না থাকা: ছবি এবং বিভিন্ন জীব জন্তুর মূর্তি থেকে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। হাদিসে এসেছে- ‘যে ঘরে মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ (মুসলিম)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিনে ছবি বা মূর্তি নির্মাতাদের সর্বাধিক কঠিন শাস্তি হবে।’ (বুখারি: ৫৯৫০, মুসলিম: ২১০৯)

অতএব মুসলমানের উচিত হবে ঘরে অবস্থানকালীন সময়ে কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে চলা। সুন্নতের পুরোপুরি অনুসরণ ও অনুকরণ করা। তাতে শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ঘরে ফিরে আসবে শান্তি ও নিরাপত্তা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।