Farmers fear delayed harvest in Netrakona as two floods delay crop completion

Abdur Rahman Ishan, Netrokona correspondent:

নেত্রকোণা জেলায় এ বছর দু দফা বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের রোপা আমন আবাদ শেষ হয়েছে দেরিতে। পিছিয়ে গেছে ফলনের সময়ও। পাহাড়ি সমতলসহ হাওরের বিভিন্ন এলাকায় সেপ্টেম্বর মাস পেরিয়ে অক্টোরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলেছে এ আবাদ। বিলম্বে আবাদের কারণে ভালো ফলন না হওয়া নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। এছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সারের মজুদ রেখে বাড়তি দামে বৃক্রির অভিযোগ। এদিকে বন্যার ফলে দেরিতে আবাদের বিষয়টি স্বীকার করে কৃষির উধ্বতন কর্মকর্তা জানালেন এবছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে বেশি আবাদ হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দফায় দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মওসুম গেলেও পিছিয়ে আবাদ হয়েছে জেলার হাওরসহ নীচু এলাকাগুলোতে। যেমন পাহাড়ি উপজেলা দুর্গাপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে মওসুমের মাঝেই আবাদ শেষ হলেও বাকলজোরা এবং কাকৈড়গড়া ইউনিয়নে মওসুম পার করে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে জেলার হাওরাঞ্চল মদন এবং আটপাড়ার তেলিগাতি, কৃষ্ণপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি থাকায় আবাদ বিলম্ব হয়েছে। পানি যেখান থেকে সরছে কৃষকরা সেখানেই চারা রোপন করছেন। আবাদ পিছিয়ে যাওয়ায় ফলনে শীতকালে কোল্ড ইনজুরীতে পড়ার শঙ্কায় কৃষকরা। কোথাও কোথাও ফিশারি করে পানি আটকে রাখায় তাদের আমন আবাদে বিলম্ব হওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধানের দর কম হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন তারা।

নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামারবাড়ি) উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, জেলায় এবছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৮০ হেক্টর। তারমধ্যে আবাদ হয়েছে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৫ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন।

পাশাপাশি বিলম্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, কোথাও কোথাও হয়তো পানি জমে থাকায় পকেট সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে ফলন ভালো হবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি। জ্বালানির দাম বাড়ার বিষয়টিও স্বীকার করে তিনি বলেন সারের দাম কৃষকের ক্রয়ক্ষমতায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত তারা মনিটরিং করেছেন। তবে বন্যায় ফলনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখন থেকেই রবিশ্যস্য আবাদের প্রস্তুতি রাখার কথাও জানান তিনি।




In Bargaon Union, A. League President Shamsul Alam, Editor Sohag

Md. Badiuzzaman (Tuhin), Noakhali Correspondent:

After a long time, the conference of Bargaon Union Awami League No. 4 of Sonaimuri Upazila of Noakhali has been held. The councilors have decided their future leadership. In this year's council, all the candidates for the post of president were long-time dedicated workers of the party. Their love for the party was also intense. After a long time, the conference of Bargaon Union Awami League has been held. The councilors have decided their future leadership. In this year's council, all the candidates for the post of president were long-time dedicated workers of the party. Their love for the party was also intense. The general secretary candidates have also gained a lot of experience by performing important duties in the party's affiliate organizations in the past. I hope that a strong committee will be formed by considering the contribution of all the candidates to the party in the full committee, combining the young and old.

I would like to express my special thanks to the recently departed president, Yasin Master. He has worked hard to keep the party well-organized for a long time. He voluntarily refrained from running for office this time to give new candidates a chance and create new leadership. I hope he will be appreciated by the Upazila Committee.

I extend my heartfelt congratulations and best wishes to the newly elected President Shamsul Alam and General Secretary Main Uddin Sohag. I hope that both of them will further organize the party with their past political experience.

Joy Bangla candidates have also gained a lot of experience by serving important responsibilities in the party's affiliate organizations in the past. I hope that a strong committee will be formed by considering the contributions of all candidates to the party in the full committee, combining the young and the old.

I would like to express my special thanks to the recently departed president, Mr. Yasin Master. He has worked hard to keep the party well organized for a long time. He voluntarily refrained from running for office this time to give new people a chance and create new leadership. I hope he will be appreciated by the Upazila Committee.

I extend my heartfelt congratulations and best wishes to the newly elected President Mr. Shamsul Alam and General Secretary Mr. Main Uddin Sohag. I hope that both of them will further organize the party with their past political experience.




Rubel, a yaba dealer, arrested in Baniyachang

Jewel Rahman, Habiganj Correspondent:

Isaba Karbari Rubel (25) was arrested in Banachong police raid on Thursday (October 20) at 10:00 pm, Itaba Karbari Rubel was arrested from the first line of South West Union of South West Union.

According to local residents and police station sources, Md. Rubel Mita, son of Aman Ali of Jatukorna Paja village (Maizor Mohalla) of Banitachong No. 3 South East Union, has been associated with Ishaba business for a long time.

On the orders of Banachong police station officer-in-charge Ajat Chandra Dev, SI Monirul Islam along with SI Atiqul Islam, Khaled Musharraf, and arrested the accused Rubel have been arrested by the police station.

In this regard, Banichang police station officer-in-charge Ajat Chandra Dev admitted the truth of the incident and said that such operations will continue.




Wife sold in Kolkata after five months of marriage

A young man named Md. Sohag (22) from Kamalnagar, Lakshmipur, has been accused of selling his wife to an Indian brothel after not receiving dowry money. The police have arrested him on this charge.

 On Thursday (October 20) evening, Kamalnagar Police Station Officer-in-Charge (OC) Mohammad Solaiman confirmed the arrest of the husband. He was arrested based on the confession and complaint of the victim housewife. Sohag is the son of Safiq Ulya of Charubhuti village of Bhabaniganj union in Sadar upazila. He is in the custody of Kamalnagar Police Station.

The victim's family said that about 5 months ago, Sohag married Rina Akhter, daughter of Tajul Islam of Motirhat area of Charkalkini union in Kamalnagar, in a family marriage. Although a dowry of 50 thousand taka was supposed to be given, 30 thousand taka was given. Sohag pressured his wife at various times for the remaining money. In the meantime, two months of marriage passed. Later, Sohag took Rina to Dhaka, promising to travel. There, after giving her drugs and smuggling her in a drum, Sohag took her to his sister near Kolkata, India. Later, even though Sohag returned to the country, he left Rina behind.

Police said that after being offered the remaining dowry money, Sohag, tempted by the offer, went to his in-laws' house on Wednesday (October 19) night. He was detained there and the in-laws informed the police. Later, the police arrested him and brought him to the police station.

Victim Rina Akhter told reporters, "I was drugged and taken to a person named Shahida in India. Shahida is said to be Sohag's sister. I was subjected to inhuman torture there for 3 months. If I did not listen to them, they would physically torture me. I want justice for Sohag and his sister Shahida."

In this regard, Kamalnagar Police Station Officer-in-Charge (OC) Mohammad Solaiman said that Sohag has been arrested based on the complaint. However, the truth of the incident has not yet been revealed.

Sadar Model Police Station Officer-in-Charge (OC) Mosleh Uddin and others are trying to unravel the mystery of the incident. Legal action will be taken after the real incident is revealed.




Allegations of insulting a brave freedom fighter in Faridpur

Faridpur Correspondent-

ফরিদপুরের বোয়ালমালী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকোমরা গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) একেএম বাচ্চু মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি (ইউএনও) থানা অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অনুরোধ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার একেএম বাচ্চু মিয়া (৭৩) প্যারালাইজড হয়ে মাইটকোমরা গ্রামের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাড়ির জমিজমা নিয়ে ছোট ভাই রঙ্গু সিকদারের পরিবারের সাথে ঝামেলা রয়েছে। এর জের ধরে বিভিন্ন সময় রঙ্গু সিকদারের স্ত্রী ও মেয়েরা তাকে অপদস্থ ও লাঞ্চিত করে থাকে। সম্প্রতি ইট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রঙ্গু সিকদারের মেয়ে লিটা, ইভা, সুরমি ও তাদের মা বিউটি বেগম বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলে সাইফুলে উপর আক্রমন করে।

এ সময় বাচ্চু মিয়ার দাড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। পরনের লুঙ্গী খুলে ফেলে দিয়ে লজ্জাস্থানে আঘাতসহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাকে বাচানোর জন্য তার ছেলে সাইফুল ইসলাম একটা ডাল নিয়ে মেয়েদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। বাচ্চু মিয়া তখন বাড়ির বাইরে পড়ে থাকেন। প্রতিবেশি মজিবর সিকদার এসে তাকে (বাচ্চু মিয়া) উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে যায়। দুর্র্ধষ প্রকৃতির এ সব মেয়েদের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানান তিনি।

একেএম বাচ্চু মিয়া বলেন, মাঝেমধ্যেই তারা আমাদের উপর আক্রমন করে। তারা খুবই দুর্র্ধষ প্রকৃতির। তারা এলাকার মাতবর, চেয়ারম্যান মেম্বারদেরও মানেনা। তাদের অত্যাচারে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। লুঙ্গী খুলে ফেলার কথা স্বীকার করে লিটা বেগম বলেন, তারাও দুর্র্ধষ প্রকৃতির লোক। মারামারি করার সময় হয়তো টানটুন লেগে লুঙ্গী খুলে গেছে। ইচ্ছা করে খুলিনি। সাইফুল বাড়ি দিয়ে তার এক বোনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সে এখন ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আছে । এক পক্ষের যেহেতু একজন আহত আছে সেহেতু তাদের বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের বলেছি আমার বরাবর অভিযোগ দিতে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




Distribution of corrugated tin and cash checks in Baniyachang

Jewel Rahman, Habiganj Correspondent:

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের উদ্যোগে বিতরণ কার্যক্রম করা হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকান্ড এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ,অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ বাবত নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়।
উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের ৩’শ পরিবারের মাঝে ৬’শ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬ হাজার করে নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্যানেল স্পিকার এডঃ আব্দুল মজিদ খান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাস’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তজিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, আসাদুর রহমান খান, বানিয়াচং ১ নম্বর উত্তর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া,শ্রমিকলীগ নেতা রুবেল মিয়া, সাংবাদিক শাহ সুমন,ইউপি সদস্য দেওয়ান নাসির উদ্দীন চৌধুরী,সেলিম উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, প্রমুখ।




Rice distribution among fishermen in Charafkira Union, Noakhali

Md. Badiuzzaman, Noakhali Correspondent:

According to the government announcement, fishing in the river is prohibited for 22 days from October 7 to October 28, so the government has allocated 25 kg of rice to each fisherman for the fishermen.

Rice distribution continues among 510 impoverished fishermen in Charafkira Union of Companiganj.
Under the chairmanship of Companiganj Upazila Executive Officer Mejba ul Alam Bhuiyan
He distributed rice among the fishermen.
The distribution ceremony was attended by the popular Chairman of Charafkira Union Parishad of Companiganj Upazila, Zaydal Haque Kochi. The distribution ceremony is continuing under the supervision of Tag Officer Nazrul Islam and UP Secretary Nazim Uddin in the presence of Fisheries Officer Satyajit Roy. Chairman Zaydal Haque Kochi called for completing the distribution with sincerity.



BNP to hold nationwide protests today

খুলনা বিভাগ ব্যতীত আজ সকল মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার ১৭ অক্টোবর বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এতে বলা হয়েছে, সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ওপুলিশের হামলা, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং বন্দিদের মুক্তির দাবিতে আগামী ২০ অক্টোবর খুলনা বিভাগ ব্যতীত সকল মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।




Why sleep early at night in Islam?

সুস্থতার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ইসলাম। স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নষ্ট হয়—এমন কাজ শরিয়তে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যেমন নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম ঘোষণা আবার পরিমিত ও সময়ানুগ খাবারগ্রহণের প্রতি উৎসাহিতকরণ ইত্যাদি সবকিছুর পেছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করে সেটি হলো বান্দার সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা। একইভাবে জলদি ঘুমানো এবং ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠা সুস্থতা ও নানাবিধ বরকত লাভের উপায়। রাতে জলদি ঘুমাতে যাওয়া আর সকালে জলদি ঘুম থেকে উঠা সুস্বাস্থ্য, সম্পদ আর জ্ঞানের পূর্বশর্ত। এ কথা সর্বজনস্বীকৃত। বিষয়টি কোরআন ও হাদিসে আরও চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘুমের উপযোগী সময় রাত। এজন্য মহান আল্লাহ রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং শীতল করে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন ঘুম।’ (সুরা ফুরকান: ৪৭)

রাসুলুল্লাহ (স.) এশার নামাজ এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ দেরি করে পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি: ৫৯৯) রাতে দেরি করে ঘুমানো নানা রোগ-ব্যাধির কারণ। যুক্তরাজ্যের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. পিরেঞ্জ লেভি বলেন, রাত জাগার বদ-অভ্যাস যারা গড়ে তুলেছে, তাদের ৯০ শতাংশই মানসিক রোগের শিকার। ৩০ শতাংশে থাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

অথচ স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়ার এখতিয়ার ইসলাম কাউকে দেয়নি। ওয়াহাব (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (বুখারি: ৫৭০৩; তিরমিজি: ২৩৫০) । তাছাড়া আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য আর ইবাদতের জন্য প্রয়োজন শারীরিক শক্তি ও সুস্থতা। একজন সুস্থ মানুষই পারে সঠিকভাবে ইবাদত করতে। এজন্য শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামত। নবী করিম (স.) বলেন, ‘মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর কিছু প্রদান করা হয়নি।’ (নাসায়ি: ১০৭২ )

সুতরাং শরীরের হক নষ্ট না করার স্বার্থে এবং সুস্থতা ধরে রাখার জন্য রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া উচিত। মুমিন বান্দার জন্য জলদি ঘুমানোর সবচেয়ে বড় উপকার হলো- ভোরে আল্লাহর ইবাদত ও জিকির করার সুযোগ। তাহাজ্জুদ, ফজরের নামাজ জামাতে পড়তে অসুবিধা হয় না রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে গেলে। হাদিস থেকে জানা যায়, দিনের প্রথমাংশকে আল্লাহ তাআলা বরকতপূর্ণ করেছেন। এই বরকত লুফে নেওয়া যায় রাতে দ্রুত ঘুমালে। ফজরের নামাজের পর সকালের ঘুম জীবন-জীবিকার বরকত নষ্ট করে দেয়। দিনের শুরুটা ঘুমে কেটে যাওয়ার ফলে দিন সংকীর্ণ হয়ে যায়। কাজের সময় ও পরিধি কমে যায়। ব্রেইনের স্বাভাবিক গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। পক্ষান্তরে ফজরের নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত এবং ইশরাক নামাজ আদায়ের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু করলে মহান আল্লাহ সারা দিনের জন্য বান্দার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফলে দিনটি হয়ে ওঠে বরকতময়।

নবীজি (স.) আল্লাহর কাছে রকে বরকতময় করার জন্য দোয়া করেছেন। সাখর আল-গামিদী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।’ তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই প্রেরণ করতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রা.) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাঁর পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে পাঠানোর ফলে অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন। (আবু দাউদ: ২৬০৮)

ভোরবেলাকে খুবই গুরুত্ব দিতেন পূর্ববর্তীরা। যারা ভোরের বরকত নিয়ে আলসেমি করত তাদের ব্যাপারা তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন, ‘আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ (মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা: ৫/২২২)
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) তাঁর এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন, ‘ওঠো, তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ (জাদুল মাআদ: ৪/২৪১) । অতএব প্রমাণ হলো- সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা, বরকতলাভ, ভোরের ইবাদত সবকিছুর অন্যতম শর্ত রাতে জলদি ঘুমানো। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাতে জলদি ঘুমানোর তাওফিক দান করুন। কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।




Sixteenth Amendment: Review petition on the agenda of the Appellate Division

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে এনে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা)র আবেদন শুনানি হবে আজ ।

গত বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবারের (২০ অক্টোবর) কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রাখা হয়েছে এটি। কার্যতালিকার ২২৭ নম্বর আছে এই বিষয়টি।

এর আগে গত ৮ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন। ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।