Just looking at your mother is the reward of Hajj
মায়ের চেয়ে বড় আপন পৃথিবীতে কেউ নেই। সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে মায়ের নিশ্বাসজুড়ে থাকে সন্তান। পৃথিবীর আলো আঁধারে সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে প্রধান ভূমিকা যাঁর, তিনি মা। মাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে ইসলাম।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্ট ভোগ করতে করতে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শুকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান: ১৪) আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (স.) এর কাছে এসে বলল- আমি জিহাদে অংশ নিতে চাই, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য ও সক্ষমতা নেই। তখন রাসুল (স.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার মাতা-পিতার কেউ কি জীবিত আছেন?’ লোকটি বলল, আমার মা জীবিত।
তখন রাসুল (স.) বললেন, ‘তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর নিকট যুদ্ধ-সংগ্রামে যেতে না পারার অপারগতা পেশ করো। এভাবে যদি করতে পার এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন তবে তুমি হজ, ওমরা এবং জিহাদের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং মায়ের সেবা করো।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ১৩৩৯৯)
সন্তান নিজের দুঃখে, সুখে সর্বাবস্থায় বাবা-মার দিকে যদি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সন্তুষ্টির নজরে তাকায়, তাহলে সন্তানের আমলনামায় কবুল হজের সওয়াব লিখে দেওয়া হয়। এমনকি সে সন্তান যদি পিতামাতার দিকে ১০০ বারও তাকায়, তার আমলনামায় ১০০ কবুল হজের সওয়াব দেওয়া হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যে সন্তান তার পিতামাতার দিকে সশ্রদ্ধ ও ভালোবাসার নজরে তাকায়, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহপাক তার আমলনামায় একটি কবুল হজের সওয়াব লিখে দেন। এ কথা শুনে উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (স.)! সে যদি ওইভাবে দৈনিক ১০০ বার তাকায় তাহলে কি সে ১০০ কবুল হজের সওয়াব পাবে? উত্তরে বিশ্বনবী (স.) বললেন হ্যাঁ! যদি দৈনিক ১০০ বারও তাকায়, তাহলে সেই সন্তান ১০০ কবুল হজের সওয়াব পাবে।’ (শুআবুল ঈমান: ৭৪৭২; মেশকাতুল মাসাবিহ: ৪৯৪৪)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোনো অনুগত সন্তান নিজের মা-বাবার দিকে অনুগ্রহের নজরে দেখে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে কবুল হজের সাওয়াব দান করেন।’ (বায়হাকি-মেশকাত, পৃষ্ঠা-৪২১)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে মা-বাবার যথাসম্ভব সেবা করার, অনুগ্রহ ও ভালোবাসার নজরে দেখার এবং তাদের জন্য সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।