Fascists will have no place in the country: Rizvi

শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শহীদদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। ফ্যাসিস্টদের ও তাদের সব দোসরের বিচার দেশের মাটিতেই হবে।

আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা সদর ও বারইগ্রাম বাজারে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত পৃথক দুটি পথসভায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তারপরও বিএনপির একজন নেতা-কর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারেনি। দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না।

এ সময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চূড়ান্ত লড়াইয়ে সিলেট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ দিয়েছেন গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ। শহীদদের এই রক্ত কিছুতেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকার মানুষ উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই বঞ্চনা আর থাকবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, কাতার বিএনপির সভাপতি শরীফুল হক প্রমুখ।




What missiles Iran fired, how Israel countered them

Iran's firing of nearly 180 high-speed ballistic missiles at Israel indicates that Tehran intends to inflict serious damage in Tuesday night's attack. In that respect, this attack was different from the drone and missile attack carried out last April.

High speed ballistic missiles were challenging to target. But the fact that no one was killed in the attack in Israel and only one in the West Bank, according to initial reports, also points to a military failure. However, some of the missiles fired by Iran and parts of them hit the ground.

Iran's Imad and Gadar missiles used earlier this year are six times the speed of sound. They take 12 minutes to reach Israel from Iran. This speed is over 4,600 miles per hour. There, Iran said, this time it had deployed a faster hypersonic FATE-2 missile. The maximum speed of which is about 10 thousand miles per hour.

Two and a half years ago, Iran had approximately 3,000 ballistic missiles, as did the United States. This number will be higher now due to related reasons. Tehran wants to keep most of these missiles, in case Israel escalates the crisis and launches an all-out war.

Firing so many missiles in just a few minutes puts additional pressure on Israel's air defenses. This missile system is very advanced. Missiles launched from there to destroy Iranian missiles in the air are very expensive. It is not certain how much stock these missiles have.

Long-range US-Israeli Aero 3 and Aero 2 systems are commonly used to intercept ballistic missiles. This missile system was first used in the Israel-Hamas war. Along with this system, medium range David Sling defense system is also activated. The more familiar Iron Dome defense system is activated to destroy short-range munitions, often to deflect rockets fired by Hamas from Gaza.

Last April, a financial adviser to the chief of staff of the Israel Defense Forces said that the Aero defense system costs $3.5 million once activated. And in the case of David's sling, this cost is one million dollars. Destroying 100 or more missiles costs billions of dollars. Although each Iranian missile costs £80,000 or more.

How many Iranian missiles have hit Israel this time has not yet been confirmed. Out of 120 ballistic missiles fired by Iran last April, only 9 were hit. It caused minor damage to two airfields. In military terms, that attack was also a virtual failure.

In April, Iran launched more than three hundred drones and cruise and ballistic missiles. But on Tuesday they used a relatively slow drone. This time it is believed that they did not use cruise missiles.

5




I am afraid to go to the factory, said Pran Group Chairman Ahsan Khan Chowdhury

শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কষ্টে আছি। আজকে আমার কারখানায় যেতে ভয় লাগে। ভয় লাগে এই জন্য যে আমি কী নিজের জীবন নিয়ে বের হয়ে আসতে পারব? এভাবে ব্যবসায়ীরা যদি নিজেদের কারখানায় যেতে শঙ্কিত হন, তাহলে তাঁরা আগামী দিনে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে যাঁরা শিল্পাঞ্চলে অসন্তোষ উসকে দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান আহসান খান চৌধুরী। বলেন, ‘বর্তমানে যাঁরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতায় অন্যায় সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের শিক্ষা দিতে হবে। আমাদের দেশে কখনোই ‘‘দিতে হবে, দিতে হবে’’, ‘‘দাবি মানতে হবে’’—এমন সংস্কৃতি ছিল না। আমরা বিগত দিনে কারখানাগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করেছি। আমরা সেই সংস্কৃতি ফিরে পেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলার উন্নতি একটি মৌলিক বিষয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী দিনে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ। এ সময় বক্তব্য দেন শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ, বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।

সেমিনারে ব্যবসায়ী নেতারা ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, বর্তমান সরকারকে ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বাড়াতে হবে।

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘ঠিক জায়গায় ঠিক লোক বসালে ভালো ফল দেয়। এই সরকারের আমলে সে প্রমাণ পাচ্ছি। ইতিমধ্যে ব্যাংকমাধ্যমে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। বিনিময় হার অনেকটাই স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমান গভর্নরের ওপর ব্যবসায়ীদের আস্থা আছে। তবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীনতায় আছে। গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়ায় শ্রম অসন্তোষের নামে দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে থাকলে নতুন কর্মসংস্থান কীভাবে হবে।’

ব্যাংক ঋণের সুদহার নিয়ে মেট্রো চেম্বারের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ১৪-১৫ শতাংশ সুদ দিয়ে ব্যবসা করে বিশ্বের কোনো দেশে মুনাফা করা যায় না। ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা ছোট বা বড় কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। অর্থায়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। তিনি আরও বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বন্ধ। এফডিআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ডলারের জন্য নয়, বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া যায়। রপ্তানি পণ্যের বাড়তি দাম পাওয়া যায়। বর্তমানে যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করলেই বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলবে।

প্রশাসন পুরোপুরি কাজ করছে না, এমন দাবিও করেন সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন পুরোপুরি কাজ করছে না। চাকরি থাকবে কি থাকবে না, নতুন করে আবার কী বের হয়ে আসে—এমন সব কারণে কাজ করতে চাচ্ছেন না অনেকে। ফলে সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বার্তা দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু প্রবাসী আয় এবং দাতাদের ঋণ ও সহায়তায় দেশ চলবে না। ব্যবসায়ীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাঁদের (ব্যবসায়ীদের) কথা বলার একটা জায়গা লাগবে। সরকারকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার এখনো ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে হবে। তাঁদের অবদান স্বীকার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব অব্যবস্থাপনা ছিল, সেগুলো সংস্কার করতে হবে। তবে সেখানে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখছি না।’

4



How many years of Hezbollah-Israel enmity, how many times they face each other

গত বছরের অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও হামাসের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। দুই পক্ষই আন্তসীমান্ত হামলা চালাতে থাকে। সম্প্রতি সে উত্তেজনা চরমে রূপ নেয়। হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করেছে, বৈরুতে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরের ওপর চালানো হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়েহ এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলী কারাকিসহ আরও কয়েকজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন।

এরপর গতকাল মঙ্গলবার থেকে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এ বৈরিতা প্রায় অর্ধ শতকের পুরোনো। এ সময়ের মধ্যে দুই পক্ষ বেশ কয়েকবারই লড়াইয়ে জড়িয়েছে।

১৯৮২ সালে লেবাননের হামলা

১৯৮২ সালে লেবাননে হামলা চালায় ইসরায়েল। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের ওপর প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) হামলার জবাবে ওই অভিযান শুরু হয়। তখন থেকে লেবাননে সাত বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলেছে।

ইসরায়েল চেয়েছিল তাদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে, এমন একটি সরকার লেবাননের ক্ষমতায় আসুক। সে আশা নিয়ে ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল দখল করে নেয় এবং তারা বৈরুতের পশ্চিমাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বৈরুতের পশ্চিমাঞ্চলে ছিল পিএলওর মূল ঘাঁটি। ইসরায়েলি বাহিনী এলাকাটি অবরুদ্ধ করে ফেলে।

একটি সমঝোতা চুক্তির পর পিএলও তিউনিসিয়াতে সরে যায়। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবাননে থেকে যায়। তারা স্থানীয় সংগঠনগুলোকে গৃহযুদ্ধে সমর্থন জুগিয়ে যেতে থাকে। সাবরা ও শাতিলায় হত্যাকাণ্ডেও ইসরায়েলের ভূমিকা ছিল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে দুই দিনে দুই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং লেবাননের বেসামরিকদের হত্যা করেছিল লেবাননের ডানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ঠেকাতে লেবাননের কয়েকটি সংগঠন গড়ে উঠেছিল। এর মধ্যে একটি ছিল শিয়া মুসলিমদের সংগঠন।

হিজবুল্লাহ গঠনের চিন্তাটি এসেছিল ইরান–সমর্থিত মুসলিম নেতাদের পরিকল্পনায়। মূলত লেবানন থেকে ইসরায়েলকে বিতাড়িত করার লক্ষ্য নিয়ে হিজবুল্লাহ নামক সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল। বেকা উপত্যকা ও বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকার তরুণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন নিয়ে হিজবুল্লাহ দ্রুতই লেবাননের একটি উল্লেখযোগ্য শক্তিতে পরিণত হয়।

১৯৮৩ সালের হামলা

১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত লেবাননে বিদেশি সেনাদের কয়েকটি হামলা হয়েছে। বিভিন্ন গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে অনেক হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করা হয়ে থাকে।

১৯৮৩ সালের ২৩ অক্টোবর বৈরুতের বেশ কয়েকটি ব্যারাক ভবনে বোমা হামলা হয়। ওই হামলায় তিন শতাধিক ফরাসি ও মার্কিন শান্তিরক্ষী নিহত হন।

ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করে। অনেকের বিশ্বাস, হিজবুল্লাহরই একটি অংশ এই ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী।

১৯৮৫ সালে হিজবুল্লাহর উত্থান

১৯৮৫ সালে হিজবুল্লাহর লড়াই করার ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে তারা মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একজোট হয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লেবাননের লিতানি নদী–তীরবর্তী এলাকা থেকে সরে যেতে বাধ্য করে।

লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ ঘোষণা করে ইসরায়েল। সে নিরাপত্তা অঞ্চলটির দায়িত্ব দেওয়া হয় খ্রিষ্টান আধিপত্যশীল মিলিশিয়া বাহিনী সাউথ লেবানন আর্মিকে (এসএলএ)। এটি ইসরায়েলের ছায়া বাহিনী হিসেবে পরিচিত। ২০০০ সালে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের দখলদারকে সমর্থন জানিয়ে গেছে তারা।

১৯৯২ সালের রাজনীতি

১৯৯২ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধের (১৯৭৫-১৯৯২) অবসান হওয়ার পর হিজবুল্লাহ সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করে। ১২৮ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে আটটি আসনে জয় লাভ করে তারা।

এরপর হিজবুল্লাহর আসনসংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে পার্লামেন্টে ৬২টি আসন হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্রদের দখলে।

নিজেদের অবস্থান শক্ত—এমন এলাকাগুলোতে বিভিন্ন রকমের সামাজিক কর্মসূচি পরিচালনা করে হিজবুল্লাহ। এতেও তাদের প্রভাব বাড়ছে।

১৯৯৩ সালে ৭ দিনের যুদ্ধ

১৯৯৩ সালের জুলাইয়ে লেবাননে হামলা করে ইসরায়েল। তারা এর নাম দেয় ‘অপারেশন অ্যাকাউন্টেবিলিটি।’ লেবাননে একটি শরণার্থীশিবির ও গ্রামে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে পাল্টা হামলা চালানোর পর ওই অভিযান শুরু হয়েছিল। ওই সংঘাত সাত দিন স্থায়ী হয়েছিল।

ওই সংঘাতে লেবাননের ১১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০০ জনের বেশি। সংঘাত চলাকালে হাজারো ভবন ধ্বংস হয়েছে।

১৯৯৬ সালের এপ্রিলে আগ্রাসন

তিন বছর পর ১৯৯৬ সালের ১১ এপ্রিল ইসরায়েল আবারও লেবাননে হামলা শুরু করে। এই অভিযান ১৭ দিন স্থায়ী হয়েছিল। অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল হিজবুল্লাহকে লিতানি নদীর ওপারে হটানো। ইসরায়েল চেয়েছিল হিজবুল্লাহকে হটিয়ে এমন দূরবর্তী অবস্থানে নিয়ে যেতে, যেন হিজবুল্লাহ আর ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে না পারে।

ইসরায়েলের ওই অভিযানকে লেবাননের নাগরিকেরা এপ্রিল অ্যাগ্রেসন (এপ্রিল হামলা) নাম দিয়েছিলেন। আর ইসরায়েলিরা একে ডাকতেন ‘অপারেশন গ্রেপস অব র‌্যাথ’ বলে। মার্কিন লেখক জন স্টেইনবেকের ১৯৩৯ সালের উপন্যাস দ্য গ্রেপস অব র‌্যাথ-এর নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়েছিল।

সামরিক ও বেসামরিকভাবে দুই পক্ষেরই উল্লেখজনক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং লেবাননের অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১৮ এপ্রিল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে কানা গ্রামের কাছে জাতিসংঘ চত্বরে গোলা হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রায় ৮০০ বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিক সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

হামলায় কমপক্ষে ৩৭ শিশুসহ ১০৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১১৬ জন। ফিজির চার সেনাসদস্যও তখন গুরুতর আহত হন। তাঁরা জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিযুক্ত ছিলেন।

২০০৬ সালের জুলাই যুদ্ধ

২০০৬ সালে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর অভিযানে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। আরও দুই ইসরায়েলি সেনাকে আটকে রাখে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সেনাদের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে সে দেশে কারাবন্দী থাকা লেবাননের নাগরিকদের মুক্তি দাবি করেছিল হিজবুল্লাহ।

পরে একই মাসে জুলাই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ওই যুদ্ধ ৩৪ দিন স্থায়ী হয়েছিল। লেবাননের প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ মারা যান এবং ৪ হাজার ৪০০ জন আহত হন। এর বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলও তাদের ১৫৮ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল। তাদের বেশির ভাগই সেনাসদস্য।

২০০৯ সালের ইশতেহার হালনাগাদ

ইসরায়েলের প্রতি বিরোধিতা ও ইরানকে সমর্থন—এ নীতিতে চলতে থাকে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে ২০০৯ সালে হিজবুল্লাহ তাদের ইশতেহার হালনাগাদ করে। তারা নিজেদের এমন একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় একীভূত করার প্রতিশ্রুতি দেয়, যেখানে সাম্প্রদায়িক স্বার্থ নয় বরং জাতীয় ঐক্য প্রতিফলিত হবে। ১৯৮৫ সালে লেখা খোলা চিঠির পর এটি ছিল হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র। ১৯৮৫ সালের খোলা চিঠিতে তারা সরাসরি দেশের লক্ষ্যগুলোর বিরোধিতা করেছিল।

২০০৯ সালের ইশতেহারে হিজবুল্লাহ তাদের ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। এতে হিজবুল্লাহ কীভাবে লেবাননের সব স্তরে পরিণত হচ্ছে, তা দেখিয়েছে তারা।

২০১২ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ

২০১২ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দেশটির সরকারকে সমর্থন জানায় হিজবুল্লাহ। তারা ওই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের এমন পদক্ষেপকে আরব সমর্থকদের অনেকে ভালোভাবে নেননি। এমনকি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন সুভি আল তুফায়লিও এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

অবশ্য হিজবুল্লাহর সমর্থকেরা দাবি করেছিলেন, এই পদক্ষেপ লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী বিশেষ করে আইএসের মতো সংগঠনগুলোর আগ্রাসন রোধে ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি এই পদক্ষেপের কারণে যুদ্ধক্ষেত্র বিষয়ে বড় ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে হিজবুল্লাহ।

২০২৩ থেকে ২০২৪-গাজা

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। প্রায় আড়াই শ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পরপরই গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হিজবুল্লাহ ও হামাসের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হন।

২০২৪ সালের ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলার ভবনে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়। দুই সপ্তাহ পর ইরান যখন ইসরায়েলকে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে, তখন তেহরানকে ব্যাপকভাবে সমর্থন জুগিয়ে গেছে হিজবুল্লাহ।

গত ২৮ জুলাই ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে একটি ফুটবল মাঠে হামলায় ১২ সিরীয় শিশু ও তরুণ নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ—দুই পক্ষই দাবি করে এ ঘটনায় তারা জড়িত নয়। এর কয়েক দিন পর বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শোকর হত্যার শিকার হন। তখন এ হত্যাকাণ্ডকে গোলানে ফুটবল মাঠের ঘটনার পরিণতি বলে উল্লেখ করে ইসরায়েল।

ফুয়াদ শোকর নিহত হওয়ার পরপরই হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েও নিহত হন। এই দুই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

ফুয়াদ শোকরের হত্যার বদলা হিসেবে আগস্টের শেষের দিকে রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-পেজার বিস্ফোরণ

২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর লেবাননে হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত কয়েক হাজার পেজার যোগাযোগযন্ত্রে বিস্ফোরণ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দেয় তারা। মূলত ১৭ সেপ্টেম্বর এই পেজার বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। গত সপ্তাহ থেকে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে জোরালো হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। লেবানন সরকারের হিসাব অনুসারে, গত কয়েক দিনের হামলায় দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।




Israel's wartime minister Gantz in hospital with a broken leg

Israeli wartime cabinet minister Benny Gantz crashes during a cross-country bike ride near Kibbutz Yad Mordechai in southern Israel.

Gantz broke his leg in Monday's accident, Hebrew media said in a statement, citing his office.

After initial treatment at Barzilai Hospital in Ashkelon, Gantz was taken to Sheba Medical Center in Tel Aviv for further tests.

The head of the National Unity Party and the extremist leader is expected to be released from the hospital today. Source: Times of Israel.

 




Scotland's first Muslim Prime Minister resigns

Hamza Haroon Yousaf, Scotland's first Muslim Prime Minister, has resigned. He announced his resignation on Monday amid fears he could lose a no-confidence vote proposed by the opposition.

Hamza's party, the Scottish National Party, formed a government in Scotland in alliance with the Scottish Greens Party. However, his party, the Scottish National Party, broke up with this party recently. The opposition then called for two no-confidence votes to remove him from power. One against the First Minister and the other against the Scottish National Party government. Hamza can lose in these no confidence votes, it is quite certain. So he announced his resignation before the vote of no confidence.

In a speech on Monday, Hamza said, "I don't want to trade my values and principles." Or do not want to make deals with anyone to retain power. Earlier this month, Hamza said he was confident of winning the no-confidence vote called by the opposition. However, by Monday, the possibility of negotiating with other parties to strengthen his minority government became uncertain.

Hamza Yousef of Pakistani origin was elected the leader of the ruling Scottish National Party (SNP) in Scotland last year. He then replaced former First Minister Nicola Sturgeon. Hamza became the first Muslim First Minister in the history of Scotland. Hamza was born in Glasgow, Scotland. However, his ancestors migrated to Scotland from Punjab, Pakistan in the 1960s. Although his father Muzaffar Yusuf was born in Pakistan, his mother Saista was born in Kenya. Source: Don.




War crimes in Gaza, Israeli leaders in fear of ICC arrest warrant

The United Nations International Criminal Court (ICC) is going to issue arrest warrants against Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu and several Israeli political and military leaders on charges of genocide and violations of international law in the Gaza Strip.

But lawyers in the US, Israel's Justice Ministry and the army are working hard to prevent that from happening. Prime Minister Benjamin Netanyahu, Strategic Affairs Minister Ron Dermer, the United States and other Western countries are also trying to convince Karim Khan, the prosecutor at the International Criminal Court in The Hague, to delay or prevent the issuance of the warrant. But it is not clear how successful they have been.

Israeli officials say they expect warrants against Prime Minister Netanyahu, Defense Minister Yoav Galant and Israel Defense Forces Chief of Staff Harzal Halevi to be issued sometime this week. Officers below them will be spared.

Unlike the International Court of Justice, which hears cases filed by South Africa against Israel, the ICC handles cases against individuals. Like the United States, India, China, Russia, Iran and most Arab countries, Israel recognizes the authority of the International Court of Justice but not the ICC.

If a warrant is issued, each ICC member state (123 in total) is obliged to arrest and extradite the accused to The Hague if they enter their territory. Although there is no way to appeal international arrest warrants, any country could theoretically tell the court that it is handling the case itself.

 

According to former Deputy Attorney General Roy Schondorff, the issuance of an arrest warrant could lead to actions against Israel such as an arms embargo or economic sanctions. "These warrants will group Israel with countries deemed violators of international law and will come on top of all other cases against Israel," Schondorff said.

Arrest warrants have never been issued against Israeli officials. But in March 2023, the ICC issued a warrant against Russian President Vladimir Putin as part of an investigation into possible Russian war crimes in Ukraine. As a result, Putin cannot travel to countries where he thinks he might be arrested. Source: Haaretz.

 




If the parents are separated, who will have the children?

Although divorce is frowned upon in Islam, it is recognized as religiously valid. When it is no longer possible for the husband and wife to live together, the option of separation through divorce is reserved.

According to the Muslim family law in Bangladesh, either the husband or the wife can divorce. However, the wife's power to divorce is conditioned. The biggest victim of this divorce is the child of the couple. Complications arise especially with regard to child custody or maintenance, alimony etc. Many people have to go to court with these complications.

Guardianship of:

According to the Guardian and Guardianship Act 1890, the father is the actual legal guardian of the child. However, if the parents are separated, the mother has the legal right to keep the child for a certain period of time for the sake of raising the child. However, even at that time, the maintenance must be given to the father.

Who is the natural custodian of the child:

In case of separation between the husband and wife, the child will normally remain in the custody or maintenance of the mother for a period of seven years in the case of a male child and until puberty in the case of a female child. In this case the father is the legal guardian but the mother is the custodian or custodian of the child. However, the father will have the right to see the child during this time. After this time the children can be taken by their father if they want. If the mother wants to keep the child in her custody even after this period, then the permission of the court must be taken.

Go to a court:

According to the provisions of Section 5 of the Family Court Act 2023, the Family Court has jurisdiction to receive, try and settle any litigation related to the guardianship and supervision of children. In such cases, the court takes into account what is best for the welfare of the child. Ekshatra also considers financial solvency, whether there is anyone in the father's family to raise the child, whether he is addicted to drugs or not. In this case, if it is agreed, the custody is shared between the two people. Maybe two days a week with the father and the remaining five days with the mother, this is also given. However, the court gives the opportunity to spend time visiting the child of the other party, regardless of who has custody. Even if you are deprived of that opportunity, you can take recourse to the law.

The child's opinion is accepted: 

The opinion of the child is always important in awarding custody or responsibility. In this case, the court also accepts the opinion of the child. However, many times, the custodial person may influence or intimidate the child to take opinions. So even after taking the opinion of the child, the court observes it. Therefore, although the opinion is a matter of consideration, liability is not given solely on the basis of the opinion of the child. In this case, the court tries to decide whose custody will actually be in the best interest of the child. For example, the advantages and disadvantages of maintenance or upbringing are also considered in this case.




Corruption, Aladdin's lamp and Pandora's box

Power is the modern version of Aladdin's lamp of the Arabic rosin, the lamp that can be lit without the help of a demon to become the owner of great wealth. And the strategy to own this wealth is called corruption.

That is, power, corruption and wealth are now complementary to each other.

When Aladdin in the story rubbed his leg, the giant would come and say to him, 'Order, master. '

But in reality Aladdin's monster looks different. This monster appears sometimes in the form of administrative power, sometimes the fear of arms, sometimes the fear of prosecution or crossfire, and sometimes the temptation to obtain some great advantage.

The last one who is making a fuss all over the country about 'Aladdin's lamp' is Benazir Ahmed, former police chief and former director general of RAB. who has also received the Rashtriya Shuddhachar Award.

It would not be wrong to call him the 'most influential police officer' in the history of Bangladesh from the appearance of this police officer who was discussed in various incidents including the removal of Hefazet Islam leaders and activists from Shapla Chattar in Motijheel in 2013. The question is, Kal Kantha, in a long investigative report titled 'Aladdin's lamp in Benazir's house' on March 31, which opened the Pandora's box of such a powerful and powerful person, what is the message?

Two questions are swirling in people's minds.

1. Bangladesh has an 'independent' anti-corruption commission and they have caught many big and medium corrupt people under the law. Many have been investigated. Many are under investigation. An influential person like Benazir Ahmed, who served as the head of the state's largest law and order force during many major incidents, did the ACC not inquire about his assets?

2. His wealth, which has been detailed in the report, is in the sum of Rs. For example, Savannah Eco Resort in Gopalganj is a luxury resort; Investments of more than 500 crore rupees in at least six companies in different areas of the country in the name of wife and two daughters; Expensive flats, houses in elite areas of the capital and bigha after bigha of land in expensive areas near Dhaka; Two lakh shares in Best Holdings and five-star hotel La Meridien in the name of two daughters; In Purbachal, a duplex house on a vast area of 40 kathas and another 10 bighas of land worth 22 crore rupees etc. The question is, in what process did Benazir Ahmed acquire this wealth?

The question is because it is impossible to buy a small house in Dhaka city with the salary, bonus and other financial benefits he got throughout his life as a government employee and the money he got after retirement. However, the details of his assets that are available in the news published in the media, are hundreds or thousands of times more than his lifetime income.

Where did he get this money or in what process did he get it?

There are three ways to get rich in fat spots.

1. Vast wealth inherited from parents.

2. big business

3. Corruption.

In the reality of Bangladesh, no matter how big and how high paying the government job is, it is difficult for anyone to own a flat in Dhaka city for two to three crore rupees, unless there is a hefty bank loan. A government employee has no chance to save much money after living on salary alone. However, many third and fourth class employees have become owners of multiple luxury flats in Dhaka city, cars, resorts near Dhaka, picturesque buildings in village houses, bigha after bigha of crop land - many such news have made media headlines. Many have been arrested. is in prison Many others have also disappeared from the news pages. Apart from this, many more people are still becoming the owners of huge wealth and prosperity by abusing and corrupting the power of Aladdin.

So this incident of Benazir Ahmed cannot be considered as a very new or an isolated incident. This is just a small case study of a corrupt economy. However, its fundamental difference with the other 10 incidents is that Benazir Ahmed is an influential person and in today's journalism where corruption and crimes of people associated with power are tried to be avoided as much as possible, the Pandora's box that the voice of the time opened or could give is undoubtedly admirable. .

For those who are upset that there is no journalism in the country or investigative journalism, this kind of report gives hope. In this age of social media, when there are door-to-door journalists, when YouTube content creators claim to be journalists, and when mainstream media seems to be losing ground to social media, this type of journalism is not just about one or two newspapers or television channels, but about the entire media. Somewhat hurt existing negative perceptions. The stakes in this type of journalism are high. But it needs more.

The weak point of the report is that there is no statement of the accused. However, according to this report, several calls were made to Benazir Ahmed's mobile phone to inquire about the complaint, but he did not receive it. Khude did not even respond to messages. Two things usually happen in these cases. 1. The accused person does not answer the call of the journalist or 2. In some news reports, when questioned about the allegations, he denies them or the accused claims that the allegations leveled against him are false and false. Therefore, even if this type of disparaging speech is ultimately not very effective, the ethics and structure of journalism require the statement of the accused.

Reports of such corruption bring two issues to the fore.

1. Where is the implementation of the government's zero tolerance policy against corruption? Can the government name even a single state service institution, including the police force, that has been completely free of corruption or where corruption has been reduced? Even after making the activities of many government service organizations internet-based and digital, has corruption decreased in all those organizations?

2. When a crime is alleged or proven against a member of any force, the force immediately says that neither the force nor the government will be held responsible for the person's crime. The question is, if there is a structural problem in any force or institution; If the system there is such that one can get away with huge wealth by intimidating or speeding up the administrative power or giving illegal favors to someone and get away with it easily, then why is the responsibility of the crime of any person associated with that force or organization Institutions and governments will not take?

Author: Journalist and Writer (Current Affairs Editor and Presenter, Nexus Television)




Kishore gang: children are mixing with whom?

Teenage gangs have become reckless. Every day somewhere gang members are causing various incidents.

There is no crime that they do not commit, including murder, robbery, extortion, kidnapping.

 

Juvenile criminals cannot be controlled despite multifaceted efforts of the law and order forces. Common people are afraid of them. Because at the root of these misdeeds of juvenile gang members are their so-called 'elder brothers'. Not only in the cities of the country, the members of Kishore gangs are now also active in different upazilas.

It is being said in the media that 'teenage gangs' are active all over the country. There are more than 70 juvenile gangs in Dhaka city. RAB-Police have arrested more than 200 people, including the head of local youth gangs, from July 2023 to this year. Most of the 2,232 pending cases are related to juvenile gangs. In 2023, 25 people were killed by juvenile gangs in Dhaka alone. In the two years 2022-23, 34 people died in their hands (Source: Dhaka Metropolitan Intelligence Department).

According to information from 16 police stations of Chittagong Metropolitan Police, more than two hundred youth gangs are active in Chittagong city. Each team consists of 5 to 15 people. Their membership in the city is about two thousand. 64 'elder brothers' patronize juvenile gangs. They control 45 important areas of the city. Youth gang leaders involved in groupings, clashes and murders centered on various issues including extortion, control of tenders in government offices, garment business, land grabbing, beating or cornering opponents. And the elder brothers who are said to make the group heavy are making the youth go astray. Most of them belong to lower and middle class families. Despite being a juvenile gang in name, the group also includes 20 to 32 year olds. The people of the city are holding protest rallies and human chains against the emergence of juvenile gangs, drugs and eve teasing.

Juvenile crime cases have also increased in Chittagong court. Currently 2 thousand 232 cases are under trial. Most of these cases involve juvenile gangs, prosecutors said. Rapid urbanization has destroyed the leisure environment and neighborhood of teenagers. Due to changes in family and social structures and the absence and narrowing of sports and other recreational facilities, the deficit in leisure recreation is being filled by artificial environments and modern information technology.

Parents are also very busy and do not have time to spend time with their children and some of them do not even feel the need. Now various groups are being formed through technology. Adolescents may not have the ability to understand the pros and cons of groups. A kind of frenzy operates among the rising teenagers. They are being influenced by someone else. They gather together in one place through information technology without any physical infrastructure to plan criminal activities, commit heinous crimes like murder and murder.

On the contrary, there are groups in the society, who are as young as they are, studying in some college or university, or even not studying at all; But by spending their own money, they are forming groups for various social work. They are spreading the light of education, cleaning the roads and working to protect the environment, standing next to the helpless people or saving people's lives by donating blood voluntarily. Such teenagers are also people of our society. They are admired for their differences in upbringing and upbringing, differences in family and society, and for not being associated with anything bad or taking chances.

When we look at both the good and the bad in society, it is up to us to make the bad group better. All work should be done where there is no chance of getting worse. A major factor among teenagers is their young age and lack of maturity, due to which they do not understand what is right and what is wrong. As a result, gang culture often seems like a big deal. Physical changes and accompanying changes in mental state as well as family and surrounding environment help them to associate and form groups.

Bangabandhu's daughter Prime Minister Sheikh Hasina, while delivering a speech on the occasion of the inauguration of the District Commissioner's Conference, highlighted the problem of juvenile gangs in the society and urged every family to increase vigilance over their children. He said that no one's children should get involved in juvenile gangs, militancy, terrorism and drug addiction. It is not useful to just arrest, you have to be aware. So it should be caught from the beginning. It has spread during the course of Covid-19 and has come to the fore at this time. The task of bridging this gang culture must start from the family. After the Prime Minister's call, there has been widespread awareness across the country at all levels to prevent this problem.

We need to give opportunities and encourage children and adolescents to participate in various social service activities in addition to their studies without keeping them confined at home. Parents should take such initiatives. It will inculcate the seeds of humanitarianism, compassion and empathy in the youth. Various activities including Scout Cub, Girls Guide, BNCC, Rover Scout can be made compulsory in schools, colleges and universities. It may also be made compulsory for students to engage in community service activities while awarding the degree. And if any unruly behavior is observed, action should be taken, there is no leniency in punishment.

It is not possible for the police alone to prevent it. Families must be careful with whom our children associate.