Shilpi Samiti President Misha, Secretary Deepjal

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

মিশা সওদাগর ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। তার থেকে ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার, তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

এদিকে সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ও ডি এ তায়েব, তিনি ২৩৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, তিনি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন, তিনি পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন— সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির ও চুন্নু।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি ও সনি রহমান।

বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব।




সালমানের বাড়িতে ক্যাবে করে এসেছেন গ্যাংস্টার বিষ্ণোই!

সালমান খানের বাড়িতে গুলি হামলার ঘটনার পর এবার অভিনেতার বাড়ির বাইরে অ্যাপ ক্যাবে করে এলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই নিজেই! এক ক্যাবচালক সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে খোঁজ করতে শুরু করেন লরেন্সের।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে সালমানের ফ্ল্যাটের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি ক্যাব। গাড়ি থেকে নেমে ওই চালক খোঁজ করতে শুরু করেন লরেন্সের। কোথায় থাকেন, তা নিয়ে গেটে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞেস করেন ওই চালক।

তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে জানান, লরেন্সকে তুলতে সেখানে এসেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্তারা লরেন্সের নাম শুনেই ক্যাবচালককে হেফাজতে নেন। তার পর তাকে বান্দ্রা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

যদিও তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই চালক জানতেনই না তিনি কোন ঠিকানায় এসেছেন। এটাও জানতেন না যে, লরেন্স এক জন গ্যাংস্টার। কেউ এক জন এই নামে ক্যাব বুক করেছিলেন। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ক্যাবটি যিনি বুক করেন তিনি আসলে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ২১ বছর বয়সি যুবক। নাম রোহিত ত্যাগী। খোঁজ পেতেই পুলিশের একটি দল গাজিয়াবাদ পৌঁছে রোহিতকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে।

শুক্রবার তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও রোহিতের দাবি, পুরোটাই নাকি করেছেন মজার ছলে। অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।

এই মুহূর্তে দুবাইয়ে রয়েছেন সালমান। ক্যারাটে কম্ব্যাট নামক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই আরব দেশে পৌঁছেছেন ভাইজান।

 




Chhatra League will plant five lakh trees in 10 days

ব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ছাত্রলীগ। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়.বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশ ও মানুষের প্রতিটি প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে দ্বিধাহীনভাবে, নিঃশঙ্ক চিত্তে, সর্বাগ্রে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যেকোনো সঙ্কট থেকে সমাধানের অন্যতম উপায় বৃক্ষরোপণ। প্রতিবছর নিয়মিতভাবে ছাত্রলীগ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে। পরিবেশ দিবস-২০২৪-কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছে।’

সাম্প্রতিক এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ১০ দিনে পাঁচ লাখের বেশি অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা।

 




IGP's appeal to students to advance in knowledge and science

ঠোর পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কমপ্লেক্স সেমিনার হলে সমিতি কর্তৃক আইজিপি মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মশিউল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে আইজিপি বলেন, জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তোমাদেরকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার সর্বোপরি দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, তোমাদেরকে দেশের সীমা ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মেধার স্বাক্ষর রেখে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’গড়ার অন্যতম অভিযাত্রী হিসেবে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আপনারা কর্মজীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরাও আপনাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দেশ ও জনগণের কল্যাণে সমিতিকে আরও মানবিক ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আইজিপি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৬ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। পরে আইজিপি শিক্ষার্থীদের হাতে মেধাবৃত্তি ও সনদপত্র তুলে দেন।




France recognized abortion as a constitutional right

র্ভপাতকে নারীদের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে ‍তুলে ধরে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে নিজেদের মৌলিক আইনে নারীদের গর্ভধারণ স্বেচ্ছায় বন্ধ করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের বিষয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল ফ্রান্স। খবর এএফপির।

ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের এক বিশেষ বৈঠকে তিন-পঞ্চমাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়। ৭৮০ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন আর ৭২ জন ভোট দেন এর বিপক্ষে। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ডেপুটিরা।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আইন পাসের এই উদ্যোগকে ‘ফ্রান্সের গৌরব’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি সারা বিশ্বের জন্য একটি বার্তা। আসছে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে তা বিশেষভাবে উদযাপনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে ‘আমার শরীর, আমার পছন্দ’ শ্লোগানকে তুলে ধরে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয় আইফেল টাওয়ারে।

আইনসভার সামনে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেন, ‘এটি মূল পদক্ষেপ..এই পদক্ষেপের কথা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

এদিকে, ভার্সেইলিতে গর্ভপাতের বিরোধিতাকারীরা সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

ফ্রান্সের নাগরিকরা যাতে নতুন করে জীবনের আস্বাদন পেতে পারে সে লক্ষ্যে ক্যাথলিক বিশপরা একদিনের উপবাস ও প্রার্থনার ডাক দিয়েছেন।

রোম থেকে ভ্যাটিকানের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মানুষের জীবন নেওয়ার কোনো অধিকার নেই অন্যের।

তবে গর্ভপাতের পক্ষে থাকা শত শত সমর্থক রাজধানী প্যারিসে বিশাল টেলিভিশন পর্দায় আইন পাসের এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উল্লাস প্রকাশ করে।

 




Qutbe Azam Gauche Mukarram Hazrat Maulana Shah Sufi Syed Abduchalam Ichapuri (RA) is remembered and chosen.

আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান »

বার আউলিয়ার তথা বহু আউলিয়ার আধ্যাত্মিক ফয়েজ বারী বিধৌত এ চট্টগ্রাম। এখানে বহু আউলিয়ার সাধনা নিকেতন হওয়া বিধায়, পৃথিবীর বিভিন্ন পূণ্যভূমির সাথে ইতিহাসের পাতায় সমমর্যাদায় স্থান পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রামের এ গৌরবকে অক্ষুন্ন এবং অম্লান রাখার মানসে পরম করুণাময় আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর খাস রহমত স্বরূপ এমন একজন যুগশ্রেষ্ঠ মহান ওলীর আবির্ভাব ঘটিয়েছেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর গ্রামের সৈয়দ পাড়া মুনসেফ পরিবারে, তিনি হচ্ছেন- কুতুবে আজম গাউছে মুকাররম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ আব্দুচ্ছালাম ঈছাপূরী (রহ.) এবং যিনি হচ্ছেন আমার পীর-মোরশেদ। আমি ১৯৬৫ সালে প্রথম তাঁর খেদমতে হাজির হই। তবে আমি ইতিপূর্বে সাদা পোশাকধারী রহস্যময় এক বুজর্গকে স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি মনে মনে তাঁর খোঁজে ছিলাম। একবার আমার এক বন্ধু শাহ আব্দুর রহমান (রহ.) আমাকে বললেন, আমি আপনাকে মাইজভাণ্ডার শরীফের অদুরে একজন বুজর্গ ওলীর নিকট নিয়ে যাবো। তখন তাঁর সঙ্গে সেই ১৯৬৫ সালে আমি প্রথম বাবাজান আবদুচ্ছালাম ঈছাপূরী (রহ.)’র খেদমতে হাজির হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি। আমি তাঁর হুজুরা শরীফে ঢুকেই সালাম আরজ করলাম এবং কদমবুচি করলাম। তবে আমি তাঁকে দেখা মাত্রই আমি যে ইতিপূর্বে স্বপ্নে একজন বুজর্গকে যে ভেষভূষা, সাদা দাঁড়ি, পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখেছিলাম ঠিক একই অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেলাম এবং আমি মনে মনে স্থির করে নিলাম- ইনিই আমার স্বপ্নে দেখা সেই বুজর্গ। কিছুক্ষন নীরব থাকার পর হুজুর কেবলা বললেন, বাবা! আপনি যে আমার দরবারে আসবেন, আমি দরবার শরীফ থেকে বেশারত পেয়েছি। আপনার দ্বারা আমার দরবারের খেদমত হবে। সেই থেকে হুজুরের দরবারে আসা-যাওয়া। ব্যাংকে চাকরী করতাম। আমি প্রথম ১০০ টাকার বেতনে চাকরি শুরু করি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হুজুরের দরবারে চলে আসতাম। যাওয়ার সময় গাড়ি ভাড়া থাকত। আসার সময় কোনো কোনো সময় গাড়ি ভাড়া থাকতো না। কিন্তু হুজুরকে বলতাম না। তবে হুজুর নিজের থেকেই গাড়ি ভাড়া এবং নাস্তাখরচসহ দিয়ে দিতেন। এভাবে আসা-যাওয়া চলছিল, এমন কি হুজুরের দরবার ছাড়া আমি অন্য কোথাও যেতাম না।
যুদ্ধের পর দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। তখনও ব্যাংকের চাকরিতে নিয়োজিত আছি। একদিন হুজুরের দরবারে গেলাম, অনেক কথাবার্তার পর হুজুর বললেন, বাবা ব্যবসা করতে পারেন না। বললাম, হুজুর! পারি কিন্তু টাকা তো নাই। তখন হুজুর দৃঢ়ভাবে বললেন, টাকা আল্লাহ্ই দিবেন। তাঁর এই কালামের বরকতে ব্যবসা শুরু করেছি। সেই থেকে হুজুরের দোয়ায় আর দয়ায় আজ মহান আল্লাহ্পাক এই অবস্থায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। ১০০ টাকার গোলাম আজ মিল-ফ্যাক্টরির মালিক হয়েছি, হাজার হাজার লোকের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা হয়েছে। এ সবই আমার প্রিয় মোর্শেদ বাবাজান কুত্বে আযম গাওছে মোকাররম হযরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আব্দুচ্ছালাম ঈছাপূরী (রহ.)’র দোয়া এবং দয়ার ফসল। তিনি আমার জীবনকে সাজিয়েছেন। আমি মনে করি আমার শরীরটাই মিজান, আমার ভিতরে বাবা ঈছাপূরী বিরাজ করছেন।
বাবাজান ঈছাপূরী (রহ.) একজন কামেলে মোকাম্মেল অলী ছিলেন। যিনি নজর করম ও তাওয়াজ্জুহ্ দ্বারা অলী তৈরি করেন তিনিই মোকাম্মেল অলী। বাবাজান ঈছাপূরী (রহ.) এর শান-আজমত এতই উঁচু দরজার যে, যা বলে-লিখে শেষ করা যাবে না। আমরা যা বলব বা লিখব, তা হবে অথৈ সাগরে ঢিল ছোঁড়ার শামিল। তারপরও আজ তাঁর বেছাল বার্ষিকী ওরছ শরীফ উদযাপন উপলক্ষে আমার সীমিত জ্ঞানে তাঁর জীবনধারার কিছু বর্ণনা তুলে ধরার প্রয়াস পেলাম।
প্রথমত: তিনি মাইজভাণ্ডারী শরাফতের প্রবক্তা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ আহমদুল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর বেশারতপ্রাপ্ত ও আশীর্বাদপুষ্ট এবং গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাজান কেবলা মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর অন্যতম প্রধান খলিফা। তাঁর পিতা সৈয়দ সিদ্দিক আহমদ সেরেস্তাদার সাহেব একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর পিতামহ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ আমিন উদ্দিন মোনসেফ সাহেব, গাউছুল আজম হযরত কেবলা (ক.) এর হামজামাতি ছিলেন।
হযরত মাওলানা ঈছাপূরী (রহ.)’র পূর্ব পুরুষগণ গৌড় নগর থেকে আগত সৈয়দ হামিদুদ্দীন গৌড়ির বংশধর, যাঁরা বাগদাদ থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য গৌড় নগর হয়ে কালের পরিক্রমায় চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের এক পুত্র সৈয়দ মুহাম্মদ ছানার বংশেই এ মহান সাধকের জন্ম।
গাউছে মুকাররম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ আব্দুচ্ছালাম ঈছাপূরী (রহ.) মাতৃগর্ভে থাকতেই তাঁর মাতা সৈয়দা জামিলা খাতুন স্বপ্নের মাধ্যমে এ মহান সাধক সম্পর্কে বেশারত লাভ করেছিলেন। একদিন অন্যান্য দিনের ন্যায় বিবি সৈয়দা জামিলা খাতুন যথারীতি এশার নামাজ, তেলাওয়াত, তছবিহ্-তাহ্লীল দরূদ শরীফ ইত্যাদি সমাপন করে ঘুমিয়ে পড়েছেন। এমন সময় তিনি স্বপ্নযোগে দেখতে পেলেন হযরত গাউছুল আজম শাহে জিলানী (রা.)কে। তিনি হযরত বড় পীর সাহেবকে কোলে নিলেন আর হযরত বড় পীর সাহেব জামিলা খাতুনকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করলেন। নিদ্রা ভঙ্গের পর জামিলা খাতুন তাঁর স্বপ্ন বৃত্তান্ত তাঁর মাতা সাহাবানীকে খুলে বললেন। স্বপ্ন বৃত্তান্ত জ্ঞাত হয়ে জামিলা খাতুনের শ্রদ্ধেয়া মাতা তাঁর পীর মোর্শেদ মরহুম হযরত মাওলানা মাইজউদ্দিন (রা.) এর সাক্ষাতে তাঁকে মেয়ের স্বপ্ন বৃত্তান্ত খুলে বললেন। হযরত মাওলানা মাইজউদ্দিন (রা.) উক্ত স্বপ্নের তাবির করতে গিয়ে বললেন, ‘আপনার মেয়েটি খুবই ভাগ্যবতী। তিনি এমন একটি পুত্র সন্তান লাভ করবেন, যাঁর জ্ঞানালোকে চতুর্দিক উদ্ভাষিত হবে। আধ্যাত্মিক জগতেও তিনি অতুলনীয় খ্যাতি লাভ করবেন। হযরত বড় পীর সাহেবকে কোলে নেয়ার মানে হল জামিলা খাতুন বড় পীর সাহেব সদৃশ মর্যাদা সম্পন্ন একজন অলীর মা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবেন।’ অবশেষে নির্ধারিত দিনক্ষণে এ মহাপুরুষ ২৭শে পৌষ ১২৮৬ বঙ্গাব্দ, ১০ জানুয়ারি ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ২১ জামাদিউসসানী ১২৯৭ হিজরী তারিখে ধরাপৃষ্ঠে তশরিফ আনয়ন করেন।
হযরত ঈছাপূরী (রহ.)’র বাল্য জীবন তাঁর পরবর্তী মহৎ জীবনের দর্পন স্বরূপ। তাই আমরা তাঁর বাল্য জীবনের ওপর একটা নাতীদীর্ঘ আলোচনার প্রয়াস পেতে চাই। বালক ঈছাপূরী (রহ.)’র মাতামহী (নানী) অত্যন্ত ধর্ম পরায়না ছিলেন। তিনি হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি এতই আশক্তা ছিলেন যে, তিনি অবসর সময়ে সর্বদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বহু মো’জেজাপূর্ণ কিচ্ছা কাহিনী বালক ঈছাপূরী (রহ.)’র কাছে বর্ণনা করতেন। নানীর কাছে এ সব মোজেজাপূর্ণ কাহিনী শুনে বালক ঈছাপূরী (রহ.)’র অন্তর নবীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ল। তিনি ক্রমশঃ নবীর প্রেম যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলেন। কি করে হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্ন যোগে দেখতে পাওয়া যায়, তিনি প্রায়ই একথা তাঁর শ্রদ্ধেয়া নানীকে জিজ্ঞেস করতে ছাড়তেন না। নানী তাঁকে বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করার নির্দেশ দিলেন। বালক প্রতিদিন শোবার আগে অসংখ্যবার দরূদ শরীফ পাঠ করতে লাগলেন। প্রায়ই দরূদ শরীফ পড়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়তেন। এভাবে কয়েক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো এক মোবারক রাতে হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ভাবী নায়েব বালক ঈছাপূরী (রহ.)কে দর্শন দান করলেন। তিনি আদর করে বালকের মাথায় এবং মুখমণ্ডলে মোবারক হাত বুলালেন। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁর মোবারক হাত দিয়ে বালক ঈছাপূরীকে স্পর্শ করার সময় তিনি এমন এক অপূর্ব সুগন্ধি অনুভব করেছিলেন, যা তাঁর পরবর্তী জীবনে নিজ মোর্শেদ গাউছুল আজম হযরত বাবাজান কেবলা (ক.)’র হুজুরা শরীফে এবং গাউছুল আজম দাদা হযরত সাহেব কেবলা রাহেমা হুল্লাহ্র রওজা শরীফ ছাড়া আর কোথাও পাননি।
হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি বালকের এ অনাবিল প্রেম এখানেই সমাপ্ত হল না। বরং তা বালকের কোমল অন্তরে আরও শক্ত করে শিকড় গেড়ে বসল। প্রায়ই এ সুগন্ধি তাঁর কাছে অনুভূত হতে লাগল। কোনো কোনো সময় তিনি বলে উঠতেন, ‘রাসুলে কারীম (দ.) এসেছেন। আমি সুগন্ধি পাচ্ছি।” একথা বলে তিনি চিৎকার করে উঠতেন। বালকের এহেন অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে তাঁর মহিয়ষী মাতা সাহেবানী অত্যন্ত চিন্তিতা হয়ে পড়লেন। তিনি তার স্বামীকে অনুরোধ করলেন তিনি যেন ছেলেটার এ মানসিক অবস্থার কথা কোন আলেমকে জিজ্ঞেস করে তাঁর আশু প্রতিকারের ব্যবস্থা করেন। পিতা সিদ্দীক আহমদ সাহেব স্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কোনো এক শুক্রবার তাঁদের মসজিদের ইমাম মরহুম মৌলভী হামিদুল্লাহ্ সাহেবের কাছে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হলেন। ছেলের স্বপ্ন বৃত্তান্ত এবং তাঁর মানসিক অবস্থা ইমাম সাহেবকে খুলে বলার পর ইমাম সাহেব বালক ঈছাপূরীকে কয়েকটা কথা জিজ্ঞেস করে মন্তব্য করলেন যে, সত্যিই বালকটি হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখেছেন। তিনি আরও বললেন, ছেলের স্বপ্ন খুবই মোবারক। তাঁকে যেন এল্মে দ্বীন শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। একথা হামিদুল্লাহ্ সাহেব সৈয়দ সাহেবকে খুব জোর দিয়ে বললেন।
উপরোক্ত ঘটনা প্রবাহের মাঝে একটা রূপ রেখাই ভেসে উঠেছে, সেটা হল নবী প্রেম। নবীর প্রতি প্রেম যাঁর যত বেশী প্রবল, সম্পর্কের দিক দিয়ে তিনি নবীর কাছে তত বেশী ঘনিষ্ঠ ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারী। এই উত্তরাধিকারী স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির নয়Ñ বেলায়েতের। নবুয়তের দ্বার বন্ধ হওয়ার পর বেলায়েতই হেদায়েতের বাহন হিসেবে মনোনয়ন পেল। আর বেলায়েত পরিচালনার ভার ন্যস্ত হল অলীউল্লাহ্গণের ওপর।
উল্লেখ্য যে, মরহুম আমিনুদ্দিন মোনসেফ সাহেবের পরবর্তী আওলাদের সবাই ইংরেজি শিক্ষার দিকেই খুব বেশি ঝুঁকে পড়েছিলেন। সুতরাং বালক ঈছাপুরী (রহ.)’র পিতা মরহুম সৈয়দ সিদ্দীক আহমদ সেরেস্তাদার সাহেবও ছেলেকে ইংরেজি শিক্ষা দানের স্বাভাবিক ইচ্ছা পোষণ করলে মাতা জামিলা খাতুন তাতে বাধ সাধলেন। তিনি পীর মাইজউদ্দিন (রা.) এবং ইমাম হামিদুল্লাহ সাহেবের ভবিষ্যদ্বানীর কথা স্মরণ করিয়ে ছেলেকে মাদ্রাসায় শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু মরহুম সৈয়দ সিদ্দীক আহ্মদ সেরেস্তাদার সাহেব পার্থিব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করলেন। মাদ্রাসায় পড়লে ছেলে ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটে পড়বে, সে কথা চিন্তা করে তিনি ছেলেকে মাদ্রাসায় শিক্ষা দানে রাজী হলেন না। তাই তিনি গ্রামের মক্তবে ছেলের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর ছাত্র বৃত্তি পরীক্ষা দানের মানসে তাঁকে নিজ কর্মস্থল হাটহাজারীতে নিয়ে তথায় স্কুলে ভর্তি করে দেয়ার মনস্ত করলেন। ছাত্র বৃত্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী শিক্ষার পথ সুগম হবে এটাই ছিল সেরেস্তাদার সাহেবের মনোবাসনা। হাটহাজারী স্কুলে ভর্তি হয়ে বালক মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে লাগলেন।
পরবর্তী ঘটনা, একবার তাঁর মাতা বালক ঈছাপূরীকে কিছু মিষ্টান্ন দিয়ে হযরত আহমদুল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র খেদমতে পাঠিয়েছিলেন। হযরত কেবলা তাঁর চেহারার দিকে তাকিয়ে কালাম করেছিলেন, “হাচ্ছান কা চেহারা তুম নে আয়া হ্যায়” এ কালামের রহস্য কেহই তাঁকে বুঝিয়ে বলতে পারেননি। পরবর্তীতে হযরত ছাহেব কেবলা তাঁকেই স্বপ্নযোগে এভাবে বুঝিয়েছেন, অনাগত ভবিষ্যতে তিনি হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার সাহাবী হযরত হাচ্ছান ইবনে সাবিত (রা.) এর বিশেষত্ব নিয়ে তাঁর দরবারের খেদমতে নিয়োজিত হবেন।
উল্লেখ্য সেই বৎসর তিনি ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং একসময় তাঁর পিতা তাঁকে নিয়ে হযরত বাবাজান কেবলা গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর খেদমতে দোয়া প্রার্থী হলেন। তখন বাবাজান কেবলা (ক.) কালাম করলেন, মাওলানা ছাহেব ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষা দেন না। অর্থাৎ তিনি ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন যে, কালের পরিক্রমায় তিনি হবেন জগদ্বিখ্যাত মাওলানা এবং তাঁর ত্বরীকার ধারক বাহক; স্কুলের বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে কি লাভ হবে তাঁর? পরবর্তীতে তিনি বাধ্য হয়ে গাউছুল আজম হযরত মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাজান কেবলা মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর বেশারতের ফলস্বরূপ স্কুল ছাড়েন। অতঃপর তিনি স্থানীয় মাদ্রাসায় ভর্তি হন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি আরবী, ফার্সি ও উর্দ্দু ভাষায় অনেক কিতাব মুখস্থ করেন। এতে স্থানীয় বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সৈয়দ আবদুল লতীফি সাহেবের অবদান অনস্বীকার্য। পরবর্তীতে তিনি উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য চট্টগ্রাম শহরের মোহছেনিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তৎকালীন বিখ্যাত পণ্ডিত মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল মাজীদ ও ফখরে বাংলা মাওলানা আব্দুল হামীদ (রহ.)’র কাছে কুরআন মাজীদ, হাদীস শরীফ ও বিভিন্ন ফিকহ বিষয়ক কিতাবের দরস লাভ করেন। পরে তিনি আরো উচ্চতর ডিগ্রী লাভের আশায় সে সময়কার বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তিনি কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় জামাতে উলার পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে তিনি কলিকাতা রামজানিয়া আলীয়া মাদ্রাসা থেকে ফিক্হ শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে ‘মুফতি-এ-আজম’ লকব লাভ করেন। কর্ম জীবনে তিনি প্রথমে হুগলী মোহছেনিয়া মাদ্রাসার মুদাররিস নিযুক্ত হন। সে সময়ে মি. টেইলার নামে একজন ইউরোপীয়ান, শিক্ষা বিভাগের সহকারী ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি হুগলী মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়ে মাওলানা ঈসাপূরী (রহ.) এর আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা দেখে তাঁকে সরকারী হুগলী ইসলামিয়া ইন্টারমেডিয়েট কলেজের আরবি ও ফার্সি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দান করেন। কিন্তু তিনি চাকুরী জীবনে বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেন নি। তিনি প্রায় রাতে তাঁর প্রিয় পীর মুর্শিদ হযরত বাবাজান কেবলাকে (ক.) স্বপ্নে দেখতেন। তিনি তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকতেন। তাই তিনি দেশে ফিরে এসে গাউছুল আজম হযরত বাবাজান কেবলার (ক.) সান্নিধ্যে চলে আসেন। একদিন হযরত বাবাজান কেবলা (ক.) অনেক রহস্যপূর্ণ কথা বলার পর তাঁকে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী এর ‘ফতহুল গায়ব’, মাওলানা রুমীর ‘মাসনভী’, শায়খুল আকবর মুহিউদ্দিন ইবনে আরবীর ‘ফুছুছুল হিকাম’ ও তাঁর তাফসীর গ্রন্থ অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেন। মাওলানা ঈসাপূরী (রহ.) এ সব কিতাব অধ্যয়ন শেষ করে হযরত বাবাজান কেবলার (ক.) দরবারে উপস্থিত হলে তিনি কালাম করলেন, ‘হামারা ফতহুল গায়ব গায়েব মে হ্যায়’। হযরত বাবাজান কেবলার (ক.) এ বাণী বড় রহস্যপূর্ণ। এ কালামের মর্মার্থ এও হতে পারে যে, তাসাউফের ওপর আপনি যে সব কিতাব পাঠ করেছেন, এ হলো তাসাউফের জগতে প্রবেশ দ্বার। আর আমি আপনাকে যা দান করব, তা আল্লাহ তা‘আলার অদৃশ্য জগতের ইল্ম। হযরত বাবাজান কেবলা মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র উপরোক্ত মুবারক কালাম সে দিকে ইংগিত বহন করে। এভাবে গাউছে মুর্কারম হযরত মাওলানা সৈয়দ আব্দুচ্ছালাম ঈসাপূরী (রহ.) ইল্মে যাহির ও ইল্মে বাতিন অর্জন করেন। এ মহান সাধক একশত চার বছর হায়াতে শরীয়ত, ত্বরিকত ও তাসাউফ বিষয়ে প্রায় একশত চারখানা কিতাব রচনা করে, তাঁর জ্ঞানের আলোয় জগতকে আলোকিত করে গেছেন। আরো উল্লেখ্য যে, তিনি বাতেলপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০৪খানা মোনাজেরার মজলিশ করে হক্ব মাছআলা প্রচার করেছেন। অবশেষে অগণিত ভক্ত মুরীদানকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ১১ চৈত্র ১৩৯০ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২৫ মার্চ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ জমাদিউস সানী ১৪০৪ হিজরী তারিখে মহান আল্লাহ্ তা‘আলার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইহজগত ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজেউন)।
আজ সেই মহান ১১ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২৫ মার্চ ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ তারিখে তাঁর পবিত্র বার্ষিক ওরছ শরীফ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় ও বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক ভক্ত-মুরীদানের সমাগম হবে। বিশেষ করে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বড় পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) এর ১৮তম অধঃস্থন বংশধর হযরত শায়খ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল-মানছুর আল জিলানী মু.জি.আ.। এতে আরো অনেক ওলামায়ে কেরাম ও বুযুর্গানেদ্বীন উপস্থিত থেকে মহান অলী হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আব্দুচ্ছালাম ঈছাপূরী (রহ.) এর জীবনদর্শন ও কর্মজীবনের ওপর তথ্যভিত্তিক আলোচনা করবেন।




Sri Lanka all out for 280 runs despite a pair of centuries

Sri Lanka all out for 280 runs despite a pair of centuries

৫৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পর অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারী শ্রীলংকা। ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু উভয়েই  ১০২ রান করে করেন। বাংলাদেশের দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও অভিষিক্ত নাহিদ রানা ৩টি করে উইকেট নেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে খালেদ তোপে পড়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। দুই ওপেনার নিশান  মাদুশকাকে (২) ও দিমুথ করুনারত্নকে (১৭) এবং তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিসকে (১৬) ফেরান খালেদ।
খালেদ তোপের পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৫ রানে রান আউট এবং দিনেশ চান্ডিমালকে ৯ রানে ফেরান  আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। এতে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। এরপর বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ষষ্ঠ উইকেটে ডাবল-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন তারা। সেই সাথে সেঞ্চুরির দেখা পান দু’জনই।
৫৭তম ওভারে কামিন্দুকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা পেসার নাহিদ রানা। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১২৭ বলে ১০২ রান করেন কামিন্দু। এরপর আরেক সেঞ্চুরিয়ান ধনাঞ্জয়াকেও শিকার করেন রানা। ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৩১ বলে ১০২ রান করেন লঙ্কার দলনেতা। জুটিতে ২৪৫ বলে ২০২ রান যোগ করেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। দলীয় ২৬৪ রানের মধ্যে ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু ফেরার পর ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশের খালেদ ৭২ রানে ও রানা ৮৭ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।



সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কিভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিসহ নানা খাতে সুযোগ তৈরি করেছে তার একটি প্রেজেন্টেশনে সফরত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা-দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার কাছে তুলে ধরেন।
তিনি ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল লাভে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’-এর সাথে একটি বিশ্ব তৈরির ঘোষণা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপি-এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার-টু-ইনোভেট (এটুআই) এর আয়োজনে ‘ইনোভেট টুগেদার ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
ইউএনডিপি’র শুভেচ্ছা-দূত ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয়, দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামীর বাংলাদেশকে ডিজিটাল বৈষম্য-মুক্ত করে গড়ে তোলার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্রাউন প্রিন্সেস ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় হেল্প-লাইন ৩৩৩, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ফ্রিল্যান্সার সাপোর্ট প্রোগ্রামের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুকরণীয় যাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন। এই উদ্যোগগুলো সমগ্র বাংলাদেশে নাগরিকদের, বিশেষত তরুণ এবং উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথকে সুগম করছে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টারেক্টিভ সেশন এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন প্রচেষ্টার রূপান্তরমূলক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা সুযোগের উপর জোর দেন। তারা জিরো ডিজিটাল ডিভাইড বিশ্ব তৈরিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
চার দিনের বাংলাদেশ সফরের সময় ক্রাউন প্রিন্সেস বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ সমতা, পরিবেশ-বান্ধব ও ডিজিটাল রূপান্তর এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি রেখে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং চলমান চ্যালেঞ্জগুলো যাচাই করে দেখবেন। এসময় তিনি সরকার এবং ইউএনডিপি’র বাস্তবায়িত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিতকরণের লক্ষ্যে নারী এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্যোগগুলোও পর্যবেক্ষণ করবেন।




BNP activists are gathering in Nayapaltan

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ২টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতাথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১টা থেকে সমাবেশে অংশ নিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুধু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আসছেন দলে দলে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে আসছেন। তারা রাস্তায় ত্রিফল বিছিয়ে তার উপর বসেছেন এবং সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে।

এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা।

এছাড়া নেতাকর্মীদের মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পড়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে আরো দেখা গেছে, সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে আছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

 




Speakers at the protest rally of the like-minded professional democratic alliance - A-League will not get even 10 seats if there is a fair election.

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বাকশালি চেতনাধারী আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সমমনা পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট নেতারা।

শনিবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব এসব কথা বলেন।

সংসদ ভেঙে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন ও সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং ১০দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সমমনা পেশাজীবি গনতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, এই অবৈধ সংসদ ভেঙে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে দেশব্যাপী দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে এই বাকশালি চেতনাধারী আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। জনগণ নৌকাকে চিরতরে ডুবিয়ে দিবে।

সমাবেশে জোটের সহকারী সমন্বয়কারী এডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার বলেন, এই নিশিরাতের বাকশালী সরকারের পতনের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারের নির্বাচনে তাদের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি প্রমাণ করেছে যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই অবৈধ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা সম্ভবপর নয়।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক পীরসাহেব, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার রহমান সিকদার, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি শেখ আলিম উল্লাহ আলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল আহমেদ মজুমদার, জিয়া নাগরিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক অহিদুল, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফসহ জোটের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।