Call for a ban on single-use plastics

দেশে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। বুধবার রাজধানীর পর্যটন ভবনে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ‘প্লাস্টিক পল্যুশন টুওয়ার্ডস প্লাস্টিক ট্রিটি নেগোসিয়েশন’ শীর্ষক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক দূষণ কমানোতে সরকার ও জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যা বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তির পথ সুগম করবে।

এসডোর চেয়ারপারসন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামিম আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এসডো জানায়, বাংলাদেশের ১৮টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার ৩৪৫ টন একবার-ব্যবহারেযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮০২ টন ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রবেশ করে।




College student murder mystery revealed after 5 years

গাজীপুর মহানগরের হারবাইদ পূর্বপাড়া গ্রামে একটি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ইফতি। পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকায় ইফতি তাঁর বাড়ি নির্মাণের দায়িত্ব দেন মামাকে। নির্মাণের মাঝপথে এসে ইফতির মামার কাছে চাঁদা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। চাঁদা না পেয়ে ইফতিকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। গ্রামের বাড়িতে রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন ইফতি। এই সুযোগে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ৫ বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে উন্মোচন হয়েছে ইফতি হত্যারহস্য। 

মঙ্গলবার বিকেলে পিবিআইয়ের গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে ইফতি হত্যার সঙ্গে জড়িত মৃদুল হাসান ও ফরিদ আহমেদ নামে দু’জনকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে ইফতি হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গাজীপুর মহানগরের পুবাইল থানার হারবাইদ পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুদ্দিন আহমেদ মারা যাবার পর সংসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন তাঁর ছেলে ইফতি। বাবার রেখে যাওয়া জমির ওপর একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন তিনি। নির্মাণকাজের দেখভাল করেন তাঁর মামা মিজানুর রহমান।

পিবিআই জানায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মৃদুল ও ফরিদ জানিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে ইফতির মামার কাছে তারা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নির্মাণাধীন ভবনেই রাতে ঘুমিয়ে পড়েন ইফতি। ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রাতের কোনো এক সময় তারা ওই বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত ইফতির গলায় ছুরি চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা তাঁর মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহত ইফতির মামা মিজান অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পুবাইল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পিবিআই গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জামালপুরের মেলান্দহ থানার উত্তর আদিপুত গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মৃদুল হাসান ও টঙ্গী পূর্ব থানাধীন শিলমুন মণ্ডলবাড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ফরিদ আহমেদকে ঢাকা ও টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে।




Land officials held hostage by sand pirates, later rescued

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বালুদস্যুদের হাতে জিম্মি হন হরিরামপুর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। পরে দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।

হরিরামপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া বলেন, হরিরামপুর উপজেলা ধুলশুরা ইউনিয়নে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্য। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর অবৈধভাবে পদ্মায় বালু উত্তোলন করায় একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনকারীরা কৌশলে তাঁর স্পিডবোট বাল্কহেডের সঙ্গে বেঁধে দোহার উপজেলার সীমানায় নিয়ে যায়। এরপর একটি স্পিডবোটে করে বালু উত্তোলনকারীদের পক্ষে প্রথমে ১৫ জনের মতো লোক আসে। এর কিছুক্ষণ পর ট্রলারে করে আরও এক থেকে দেড়শত লোক আসে। তারা তাঁকে বহনকারী স্পিডবোটটি জোর করে দোহারের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি বিষয়টি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসককে জানান। তাঁর স্পিডবোট যখন দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে আসে, তখন দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জব্দ করা বাল্কহেডটি দোহার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে নদী পথে হরিরামপুর ফিরে আসেন।

তাপসী রাবেয়া আরও জানান, তিনি গুগল ম্যাপ দেখেই মানিকগঞ্জের সীমানায় পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যান। কিন্তু দোহার এলাকার বালুদস্যুরা মানিকগঞ্জের সীমানায় এসে বালু উত্তোলন করছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, দোহার এলাকার বালুদস্যু মুত্তার ও শহীদের নেতৃত্বে তাঁর স্পিডবোটকে জিম্মি করে দোহার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তাঁকে দোহারের ইউএনও জানান হরিরামপুর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। ইউএনওর নির্দেশে দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গিয়ে তাপসী রাবেয়াকে দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মকর্তাকে তাঁর নিজ উপজেলায় যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জব্দ বাল্কহেড মৈনট ঘাটে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Government questioned all institutions of the country: Amir Khusro

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়ালকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জে গণমিছিল কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন আউয়াল।

আমীর খসরু বলেন, বিরোধী দল প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাদেরকে গুলি করা হবে। তারা যখন রাস্তার পাশে কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেবে, সেখানে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে গুলি করতে হবে। সরকারের অবস্থান কি সেই পর্যায়ে গেছে? সরকারের কিসের ভয় যে, সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে পারবে না?

হামলা-গুলি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে বলব কেন? তারা নিজেরাই দেখছে। তাদের প্রতিনিধি আছে, দূতাবাস আছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো আছে। এখন ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সারাবিশ্ব জেনে যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।




Saudi offers 150 million for Salah

লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহর জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদ। ওই প্রস্তাবে রেডস শিবির থেকে খুব একটা সাড়া না পাওয়ায় প্রস্তাব ১৫০ মিলিয়নে উন্নীত করেছে সৌদি।

সংবাদ মাধ্যম সিবিএস দিয়েছে এই তথ্য। তাদের মতে, দলবদলের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে সালাহকে সৌদিতে নিতে চায় আল ইত্তিহাদ। তাকে নেইমার-রোনালদোর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে।

লিভারপুলের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন মোহামেদ সালাহ। মিশরীয় এই তারকা অন্য কোথাও যেতে চান না। সালাহ ও তার এজেন্ট সংবাদ মাধ্যমকে তেমনটাই জানিয়েছেন। অন্যত্র যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে চুক্তি নবায়ন করতেন না বলেও উল্লেখ করেছেন তার এজেন্ট।




Hijab notice of DU's Bengal department is against religious freedom

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের এক নোটিসে বিভাগের সব প্রেজেন্টেশন, টিউটোরিয়াল, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ভাইভায় কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশনার নোটিসটি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারী সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, বাংলা বিভাগের নোটিসটি ছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিপন্থী। নোটিসটির বিরুদ্ধে ঢাবির ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। চূড়ান্ত মীমাংসার জন্য তারা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উক্ত নোটিসটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। চেম্বার জজ আদালতও এ স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে আপিল বেঞ্চ সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দুই মাসের মধ্যে রিটটি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। বর্তমানে রিট নিষ্পত্তির শুনানি চলমান রয়েছে।

হেফাজত নেতারা ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো এই স্থগিতাদেশ বাতিল করাকে পুঁজি করে ঢাবির সর্বশেষ পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন বিভাগে হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জঘন্য আচরণ করা হয়েছে। বাংলা বিভাগের মেয়েদের ওই নোটিস মানতে বাধ্য করা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) চূড়ান্ত পরীক্ষার ভাইভায় অনেককে পুরো সময় মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েকজন মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন, কারও কারও ভাইভা নেওয়া হয়নি। অন্যান্য বিভাগের ব্যাপারেও অনুরূপ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা আশা করছি, হিজাব-নিকাবের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে পবিত্র কুরআন, হাদীস এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রেখেই আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে শিক্ষাঙ্গন থেকে মুসলিম নারীরা ঝরে পড়ার সর্বোচ্চ আশংকা রয়েছে। এতে করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা কক্ষে পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দ্রুততম সময়ে সব অনুষদের সব বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা বন্ধে নোটিস প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইভা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় আনতে হবে। হিজাব বা নিকাব পরিধান সংক্রান্ত ঘটনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত জনতা মেনে নেবে না।




Prime Minister mourns the death of Kazi Shahed Ahmed

দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক, জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী শাহেদ আহমেদ।

কাজী শাহেদ আহমেদের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন ও অনলাইর পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক। কাজী শাহেদ আহমেদের ছোট ছেলে ইনাম আহমেদ জেমকন গ্রুপের পরিচালক।




Nazrul Islam's songs are not played at national events, regrets the granddaughter

জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান বাজানো হয় না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবির নাতনি খিলখিল কাজী।

তিনি বলেছেন, দেশের যে কোনো সংকট মুহূর্তে কাজী নজরুল ইসলামের গান আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। অথচ জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোতে তার গান বাজানো হয় না। ‘চল চল চল’ গানটা জাতির পিতা রণসংগীত করেছিলেন। সেই গানটাও এখন সেভাবে গাওয়া হয় না। ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে’ গানটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করা দরকার। এটা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গান।

কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে ফুল দিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

খিলখিল কাজী বলেন, নজরুলের রচনাগুলো আজ পর্যন্ত অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার অজস্র সৃষ্টি আমাদের বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তিনি যখনই ঢাকায় আসতেন বর্ধমান হাউজে উঠতেন। বর্ধমান হাউজটা কিন্তু সংরক্ষণ করা হয়নি। তার ব্যবহৃত কক্ষটি সংরক্ষণ করে কবির যাবতীয় জিনিস গুছিয়ে রাখা উচিত।

এদিন কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শোভাযাত্রা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম চিরদিনই আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। আমাদের সংকটে, সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে তিনি অফুরান এক প্রেরণার উৎস। তিনি চিরদিন বাঙালির জীবনে বেঁচে থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস শেষ হয়নি। এই আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য ট্র্যাজেডির মাস। এ মাসে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, কাজী নজরুল ইসলামকেও হারিয়েছি। কাজী নজরুল ইসলাম সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা, গানে, চেতনায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছি। সাম্প্রদায়িকতা এখনও আমাদের স্বাধীন দেশের অগ্রগতির পথে অন্তরায় রয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ সমূলে তুলে ফেলতে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা যখন মিছিল, স্লোগান দেই বা কারাগারে যাই তখন কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রেরণা জোগায়। এই মহান জাতীয় কবির আজকে প্রয়াণ দিবস। এ দিনে আমরা তাকে গভীরভাবে স্মরণ করি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের এক দুঃসময় এবং দুঃশাসনের মধ্যে আমরা বাস করছি। আজকে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বন্দি, তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। শুধু গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। একটি স্বাধীন দেশ তো এমন হওয়ার কথা ছিল না। এই দুঃসময় অতিক্রম করার জন্য, ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান আমাদের প্রেরণা জোগায়। আমাদের উদ্দীপ্ত করে, উজ্জীবিত করে।

এ ছাড়া কবির সমাধিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।




The Cabinet had paper, not cipher

পাকিস্তানের কুখ্যাত অ্যাটক কারাগারে আটক আছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। সেখানেই তাঁকে নিখোঁজ সাইফার মামলা নিয়ে এক ঘণ্টা ধরে একের পর এক প্রশ্ন করে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম সার্কেলের তিন সদস্যের টিম। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপপরিচালক আয়াজ খান। গভীর ধৈর্যের সঙ্গে তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইমরান। 

গত বছর জনসমাবেশে গোপনীয় একটি ডকুমেন্ট (সাইফার) প্রদর্শন করেছিলেন ইমরান। সে বিষয়ে কারাগারে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানিয়েছেন কোনো সাইফার প্রদর্শন করেননি। তা ছাড়া সেটা কোথায় রেখেছেন তাও তিনি ভুলে গেছেন। 

তিনি বলেন, ওই জনসমাবেশে আমি যে কাগজটি প্রদর্শন করেছিলাম, তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ। কোনো সাইফার ছিল না।

ইমরান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখার অধিকার তাঁর ছিল। কেন তিনি তা জনসমাবেশে প্রদর্শন করেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

এটা ছিল সাইফার-বিষয়ক ইস্যুতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষ পর্যায়। এর পরই তদন্তকারীরা একটি সিদ্ধান্তে যাবেন। এ নিয়ে যে মামলা আছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তদন্ত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে।

এদিকে তাঁর জামিনের নবম আবেদন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে প্রত্যাখ্যান হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শনিবার। আইনজীবী সালমান সফদারের মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নবম জামিন আবেদন করেন তিনি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন ইমরান খান, এমনটাই অভিযোগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খট্টক। ইমরান খান হচ্ছেন পারভেজ খট্টকের সাবেক রাজনৈতিক নেতা এবং সাম্প্রতিক দমনপীড়নের পর তিনি পিটিআই-পার্লামেন্টারিয়ানস (পিটিআই-পি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। পেশোয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইমরানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।

এ ছাড়া বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত বিলের কারণে তিন দিন ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। এই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।

জাতীয় পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির পর সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে অনেকে। খবর জিও নিউজের




Allegation of death of madrasa student due to sexual abuse

পটুয়াখালীর বাউফলে যৌন নির্যাতনে এক মাদ্রাসাছাত্রের (১৩) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তবে ওই ছাত্রের বাবার ভাষ্য, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালকের বিচার দাবি করেছেন তিনি।

নিহত শিক্ষার্থী নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফেজিয়া নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

ছেলেটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত সেলিম গাজী মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ছেলেটির পরিবারের ভাষ্য, ভর্তির পরই তাকে বিভিন্ন কৌশলে যৌন নির্যাতন করত মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী। দুই সপ্তাহ আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছেলেটির বাবা বলেন, তার ছেলে মৃত্যুর আগে তাকে জানায়, ‘হাফেজ সেলিম গাজী ভর্তির পর থেকেই খুব আদর করত তাকে। পরে পরিচালক তার সঙ্গে রেখে প্রায় প্রতিদিনই তাকে যৌন নির্যাতন করত।’ এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে ছেলেকে হত্যার ভয়ভীতি দেখায়। ছেলে বাড়িতে আসতে চাইলে সেলিম তাকে নিয়ে আসত। মা-বাবা ও দাদার সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে আবার সঙ্গে করে নিয়ে আসত। তিনি বলেন, ‘আমরা সরল বিশ্বাসে ছেলেকে হাফেজ তৈরি করার জন্য দিয়েছি। কিন্তু পশুটা মোর বাবাকে মেরে ফেলেছে।’ এর বিচার চাই বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সেলিম গাজীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি জেনে থানায় জিডি করে লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালীর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মাদ্রাসা পরিচালক সেলিম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়েছে বলে জানান ওসি।