Unfinished waiting for son's disabled card in Lakshmipur
Staff Correspondent:
ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দরজায় ঘুরতে-ঘুরতে ক্লান্ত মা আলেয়া বেগম। তাঁর প্রশ্ন কত অপেক্ষা করলে পাবে বাতার কার্ড প্রতিবন্ধী ছেলে রিপন।
কিশোর মো. রিপন হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের নতুন বাড়ির মৃত,আবুল কালামের ছোট ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশু পাটোয়ারী বলেন, সামনে তালিকা আসলে রিপনের নামে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
জানা যায়, রিপন ছোট বেলা বন্ধুদের সাথে খেলা-ধুলা করতে গেলে তার পায়ে কাঁটার আঘাত লাগে।
কিছুদিন পর তার জ্বর ও দুইটি পা ফুলকা দেখা দেয়। ব্যাথার যন্ত্রণা সে স্বাভাবিক ভাবে চলাফিরা করতে পারেনা।স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ভাল হয়ে উঠেনি তার পা।বর্তমানে রিপন শারীরিক ভাবে দুর্বল।
প্রতিবন্ধী রিপন বলে বন্ধুরা আমাকে খেলাধুলাত নেয় না।কেউ আমার সাথে মিশে না।আমি পড়া-লেখা করতে চাই।যখন ব্যাথা দেখা দেয় চলা ফিরা করতে খুব কষ্ট হয়।
রিপনের মা আলেয়া বেগম বলেন,তার অসুস্থতার পর থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে বহুবার গিয়েও কোনোরকম সহযোগীতা পায়নি। প্রতিবন্ধী একটি কার্ডের জন্য অনেক আকুতি করেছি তারপরও মেলেনি। তাদের দয়ামায়া বলতে কিছুই নেই। কয়েক মাস পূর্বে সন্তানের চিকিৎসার জন্য গ্রামে ভিক্ষা করে ১১ হাজার টাকা তুলে ঢাকা নিই।
প্রায় দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। তারপরও ভালো করা সম্ভব হয়নি।খুব কষ্টে জীবন-যাপন করি। বড় ছেলে নির্মাণ শ্রমিক। তার সামান্য আয় দিয়ে চলে সংসার।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরজ্জামান
বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবন্ধী তালিকায় তার নাম রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হবে।

