Children are suffering from diarrhea before winter arrives
Lakshmipur:
শীতকাল না আসতে নবজাতক ও শিশুরা বেশীরভাগ ডায়রিয়া ও ঠান্ডা-জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি হচ্ছে।
হঠ্যাৎ শীত দেখা দিয়েছে এতে নবজাতক ও শিশু কিশোর পাশাপাশি পুরুষ-মহিলা অতিরিক্ত ডায়রিয়া ও বর্মি নিয়ে সদর হাসপালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।সঠিক সময় এসে সঠিক সেবা পেয়ে যেমনি খুশি, তেমনি টাকা দিয়ে সেবা নিতে বাদ্য হচ্ছে রোগীর স্বজনরা।
১ বছর ১ মাসের ভাবনা আক্তারকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রাম থেকে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে জ্বর ও পাতলা পায়খানা নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
শিশু ভাবনার মা নাছরিন আক্তার বলেন,অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।ভর্তির পর থেকে পলাশ নামের এক লোক আমাদের কাছ থেকে দুইদিনে দুইশত ৫০ টাকা চিকিৎসা বাবদ নেয়।
একইদিন একই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের খোরশিদা বেগম নামের এক নারী তিনি বলেন,তাঁর ৯ মাসের শিশুকন্যা তামান্না আক্তারকে নিয়ে শুক্রবার (২৬ অক্টোবর)সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বর্মি ও ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।বর্তমানের তাঁর মেয়ে চিকিৎসা পেয়ে অনেকটা ভালোর দিকে। তবে পলাশ নামের ওই ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে ১শ’ ৫০ টাকা নেন।
পৌরসভা উত্তর বাঞ্ছানগর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির প্রবাসী হানিফের স্ত্রী রুমা আক্তার তাঁর এক বছর ৭ মাসের জান্নাতুল ফেরদাউস মুনতাহার ডায়রিয়া নিয়ে রবিবার (২৯অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে চিকিৎসার জন্য আসেন। ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁর মেয়ে সুস্থ দিকে উন্নত চিকিৎসা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের রোগীর স্বজনদের দেখা গেছে গাদাগাদি ও মেঝেতে শিশুদের চিকিৎসা দিতে।ফলে চিকিৎসকরাও সেবা দিতে চরম হিম-শীম খাচ্ছেন।তবে অন্যদিনের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখা গেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের (শিশু বিষয়ক) ডাঃ আব্দুল্লাহ আলামিন বলেন,প্রতিবছর শীত আসার প্রথম ও শেষমুহুর্ত শিশুদের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।বেশীরভাগ শিশুরা ঠান্ডা-জনিত রোগে আক্রান্ত হন।সময় মতন চিকিৎসা দিতে পারলে এসব রোগ থেকে শিশুরা রক্ষা পাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের (আবাসিক) মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যেসব শিশুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে।তাদের সর্বত্র চিকিৎসা দেওয়া হয়।চিকিৎসার নামে টাকা এ বিষয় কথা বললে তিনি জানান পলাশ সরকারি কর্মচারী নন। তিনি অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে পেটিক্যাল করছেন। রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে সত্যতা পেয়েছি। প্রতারক পলাশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হবে জানান হাসপাতালের এ কর্মকর্তা।