লক্ষ্মীপুরের যুবক শাহা আজিজ ৭মাস ধরে নিখোঁজ

 

লক্ষ্মীপুরঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মো. শাহা আজিজ (২৮)নামের এক যুবক গত ৭মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারেরলোকজন আতœীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানেখোঁজলেও তার সন্ধান পায়নি। এব্যাপারে রামগতি থানায় একটিসাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।নিখোঁজ যুবক শাহা আজিজ রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছাইউনিয়নের চর কোলাকোপা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।তার গায়ের রং ফর্শা, মুখমন্ডল গোলাকার, উচ্চতা ৫ফুট ৪ইঞ্চি,নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিলো জিন্সের প্যান্ট ও সাদাশার্ট। সে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। আজিজ অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত পড়া লেখা করেছেন।সাধারণ ডায়েরি ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে২৮ ফেব্রুয়ারি শাহা আজিজ বাড়ি থেকে চাকরির খোঁজতেচট্টোগ্রামে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ।অনেক খোঁজখোজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। আজিজের বড় ভাই রিপন মাঝি বলেন, আজিজ নিখোঁজ হওয়ার পরথেকে অনেক খোঁজাখোজি করেও না পেয়ে গত ০১ আগস্ট রামগতিথানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন।




লক্ষ্মীপুরে লেগুনা উল্টে ৫ মাদ্রাসা ছাত্র আহত

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে বেপরোয়া গতির একটি লেগুনা উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে ৫ মাদ্রাসা ছাত্র আহত হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের ভবানীগঞ্জ কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ফেনীর আজিজিয়া সুলতানুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র জুনাইদ (১০), রাকিক (১১), মো. রাকিব হোসেন (১০), মেহেদী হাসান (১১) ও আরিফ (১০)। আহত ছাত্রদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। তারা কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের চর সামচ্ছুদ্দিন গ্রাম ও মতিরহাট এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনা কবলিত অন্যান্য ছাত্রদের কাছ থেকে জানা গেছে মতিরহাট থেকে রিজার্ভ করা লেগুনা দিয়ে ফেনীর ওই মাদ্রাসা যাচ্ছিল তারা; পথে ভবানীগঞ্জ কলেজের সামনে গেলে দ্রুত গতির লেগুনাটির নিয়ন্ত্রণ হারায় চালক; এতে লেগুনা রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে ৫ ছাত্র আহত হয়। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার উপরির্দশক (এসআই) ফারুক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে খোজখবর নেয়া হচ্ছে।




কারা এই রোহিঙ্গা, কেন তাদের এত দুর্ভোগ?

রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস করলেও দেশটিতে তাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত এবং পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনায় বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয় রোহিঙ্গা সংকট। মিয়ানমার তাদের স্বীকৃতি না দেওয়ায় এখনও প্রশ্ন থেকে যায় কারা এই রোহিঙ্গা কিংবা তাদের শিকড় কোথায়?

উইকিপিডিয়া বলছে, রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। যাদের বেশির ভাগেরই ধর্ম ইসলাম। এছাড়া অল্প কিছু সংখ্যাক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং, মংডু, কিয়কতাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন ও পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন ও আন এলাকায় মিশ্রভাবে বসবাস করে থাকে।

প্রায় এক মিলিয়ন (১০ লক্ষ) রোহিঙ্গার বসবাস মায়ানমারে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাদের অর্ধেক পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে। যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্য মতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।

রোহিঙ্গা কারা?
বর্তমান মিয়ানমারের “রোসাং” এর অপভ্রংশ “রোহাং” (আরাকানের মধ্যযুগীয় নাম) এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। আরাকানের প্রাচীন নাম রূহ্ম জনপদ। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশে পূর্ব ভারত হতে প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ বছর পূর্বে অষ্ট্রিক জাতির একটি শাখা “কুরুখ” (Kurukh) নৃগোষ্ঠী প্রথম বসতি স্থাপন করে, ক্রমান্বয়ে বাঙালি হিন্দু (পরব্রতীকালে ধর্মান্তরিত মুসলিম), পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। এ সকল নৃগোষ্ঠীর শংকরজাত জনগোষ্ঠী হলো এই রোহিঙ্গা। বস্তুত রোহিঙ্গারা হল আরাকানের বা রাখাইনের একমাত্র ভূমিপুত্র জাতি। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে।

পক্ষান্তরে ১০৪৪ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজ্য দখলদার কট্টর বৌদ্ধ বর্মী রাজা “আনাওহতা” (Anawahta) মগদের বারমা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে রোহিংগাদের বিতাড়িত করে বৌদ্ধ বসতি স্থাপন করেন। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস দক্ষিণে বার্মার বংশোদ্ভুত ‘মগ’ ও উত্তরে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।

অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনগোষ্ঠিই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।

নবম-দশম শতাব্দীতে আরাকান রাজ্য ‘রোহান’ কিংবা ‘রোহাঙ’ নামে পরিচিত ছিল, সেই অঞ্চলের অধিবাসী হিসেবেই ‘রোহিঙ্গা’ শব্দের উদ্ভব। ঠিক কবে থেকে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তার সঠিক কোন সময় জানা যায়নি।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত মতবাদ, সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। এই রহমত থেকেই এসেছে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি।

তবে, মধ্যযুগে ওখানকার রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ওই রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। রোসাঙ্গ রাজ্যের রাজভাষা ফার্সী ভাষার সাথে বাংলা ভাষাও রাজসভায় সমাদৃত ছিল।

ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহাঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর চরম বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।

এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের বহু ভূল করে গেছে ব্রিটিশ শাসকরা।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ।




৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ লক্ষ্মীপুরে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আটক

 
Lakshmipur:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া বিনিয়োগ ঋণ দেখিয়ে তিনি ব্যাংকের ৮ কোটি ৯৭ লাখ ১ হাজার ২১৯ টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাৎ করেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্যাংক থেকে তাকে আটক করা হয়। নুর মোহাম্মদ ব্যাংকটির এসবিআইএস সুপাভাইজার এবং লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে। দুদক সূত্র জানায়, নুর মোহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার এসবিআইএস সুপাভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া বিনিয়োগ ঋণ দেখিয়ে ৮ কোটি ৯৭ লাখ ১ হাজার ২১৯ উত্তোলন করে। তিনি এ টাকা আত্মাসাৎ করেছেন। বিষয়টি ব্যাংকের অডিট টিম সত্যতা পায়। কোন গ্রাহক ঋণ গ্রহণ না করলেও তিনি ভুয়া ও জাল ভাউচার তৈরী করে ব্যাংক থেকে ঋণ অনুমোদন করে নিজেই আত্মসাৎ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছ



গণতন্ত্র, নির্বাচন ও আইনের শাসন সব এখন প্রশ্নবিদ্ধ ….. আ স ম আবদুর রব

 

কমলনগর প্রতিনিধি:
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বিদ্যমান রাজনীতি, শাসন ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা সবকিছু আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ বিদ্যমান রাজনীতি দেশের জনগণের আকাংখা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণেও এসব বিষয় উঠে এসেছে । আমরা অনেক পূর্ব থেকেই বিদ্যমান রাজনীতি, শাসন ব্যবস্থা, সমাজ ও সময়ের চাহিদার অনুপোযোগী এমনকি অকার্যকর-তা সুস্পষ্টভাবে মূল্যায়ন করে দেশ ও জনগণের কাছে রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে ব্যাপক সংস্কার, গুণগত পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ১০ দফা জাতির সামনে উত্থাপন করেছি। আজ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন-পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষনেই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং সকল দল ও মহলকে রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন-ব্যাপক সংস্কার ও সমাজ উপযোগী কর্মসূচী প্রণয়নে গুরুত্ব প্রদান করা জরুরী।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপকূল কলেজে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি কমলনগর উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব রব এসকল কথা বলেন।

উপজেলা জেএসডি’র সভাপতি অধ্যক্ষ অবদুল মোতালেব এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেএসডি’র কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি তানিয়া রব, জেলা জেএসডি’র সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, উপজেলা জেএসডি’র সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিরব, জেএসডি’র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, লোকমান হোসেন বাবলু, আবুনুর সেলিম, হারুনুর রশিদ ডিলার, আবদুল বাতেন বাবুল মুন্সী, খুরশীদ আলম মেম¦ার, হাজী নজির আহম্মদ, বোরহান উদ্দিন রোমান, ইঞ্জি. মনিরুল ইসলাম মিঠু, হান্নান হাওলাদার, মাহমুদুর রহমান বেলাল, শিব্বির মাহমুদ দেওয়ান, আজাদ উদ্দিন বিপ্লব , আবদুল্লাহ আল নোমান, আসিবুল ইসলাম রিয়াজসহ কমলনগর-রামগতি উপজেলা জেএসডি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

 




সরকার বেকায়দায় উত্তরণের রাস্তা পাচ্ছে না …….. আ স ম রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ভোটবিহীন নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতা আকড়ে আছে কিন্তু ক্রমাগত সংকটে আবর্তিত হচ্ছে। সর্বশেষ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে সরকার বেশ বেকায়দায় পড়েছে- উত্তোরণের কোন রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে সরকার ও সরকারী দলেরর আচরন-বক্তব্যে চরম হতাশা ফুটে উঠেছে। আদালতকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত বক্তব্য সরকার ও সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দ উচ্চারন করে যাচ্ছে তা খুবই ভয়ংকর-যা রাষ্ট্রের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা আদালত নিয়ে কোন হীন রাজনীতি করতে চাই না।

রব আরও বলেন, বিদ্যমান সংবিধান যে অবস্থায় উপনীত হয়েছে তাতে আর কোন নির্দেশনা নেই। বিদ্যমান সংবিধানের আমুল পরিবর্তন করা জরুরী।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়ন যুব পরিষদ এর কাউন্সিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রব এসকল কথা বলেন।

যুব পরিষদ কমলনগর শাখার আহবায়ক মাহমুদুর রহমান বেলাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেএসডি’র কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি তানিয়া রব, উপজেলা জেএসডি’র সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিরব, জেএসডি’র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, লোকমান হোসেন বাবলু. অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান স্বপন, এবিএম বাবুল মুন্সী, যুব পরিষদের নেতা শিব্বির মাহমুদ দেওয়ান, আসিবুল ইসলাম রিয়াজসহ কমলনগর-রামগতি উপজেলার জেএসডি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 




লক্ষ্মীপুর কমলনগরে যুবলীগের উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী ও সভা অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যুবলীগের উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজিরহাট উপকূল কলেজ মাঠে নব-গঠিত যুবলীগ ঈদ পূর্ণমিলনী ও সভার আয়োজন করেন।

কমলনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পীর সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগরের এমপি মোঃ আবদুল্লাহ্ আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজীদ ভুঁইয়া।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা এডভোকেট মোঃ আনোয়ারুল হক, রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন ভিপি হেলাল, তোরাবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মদ রতন, কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক সবুজ।

উক্ত সভা পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ আহসান উল্লাহ হিরন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অাগত যুবলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




Pushing the state towards a terrible disaster….. ASM Rab

Lakshmipur:

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সংবিধান হচ্ছে জনগণের অভিপ্রায়ের বহি:প্রকাশ। উচ্চ আদালত কর্তৃক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে কেন্দ্র করে সরকার এবং সরকারী দল যে সকল বক্তব্য-কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তার মধ্যদিয়ে সংবিধানের বিরুদ্ধে তাদের অনাস্থাই প্রকাশ পাচ্ছে। বিচার বিভাগের সাথে সরকারের স্ব-ঘোষিত যুদ্ধ রাষ্ট্রকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা দেশবাসীর কাম্য নয়। সংবিধানের আওতায় থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে-সংবিধান বর্হিভূতভাবে নয়।

রব বলেন, রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পথে। যা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে শাসন-প্রশাসনে আমূল সংস্কার। জেএসডি উত্থাপিত ১০ দফাই আমূল সংস্কারের কর্মসূচী। এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে  ৮নং বড়খেরী ইউনিয়ন ও ৯নং চর গাজী ইউনিয়ন জেএসডি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মীর গোলাম আজম ফারুক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেএসডি সহ-সভাপতি বেগম তানিয়া রব, এ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, এ্যাড. কাউছার নিয়াজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, শাহদাত হোসেন নিরব, লোকমান হোসেন বাবলু, বোরহান উদ্দিন রোমান, ইঞ্জি. মনিরুল ইসলাম মিঠু, এহসান রিয়াজ, আবদুলাহ আল নোমান, আসিবুল ইসলাম রিয়াজসহ রামগতি উপজেলা জেএসডি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




Journalist Rafiqul Islam Montu receives the title of "Coastal Friend"

Journalist Rafiqul Islam Montu, the pioneer of coastal journalism, was the first to receive the title of "Coastal Friend" in recognition of his special contribution to the media covering the entire coast in Bangladesh. On Monday (September 4) afternoon, the special memorial of the honor with the title of "Coastal Friend" was handed over to him by the MP of Lakshmipur-4 (Ramgati-Kamalnagar) constituency and the chief guest of the event, Abdullah Al Mamun. The Ramgati-Kamalnagar Online Activist Forum presented the honor at a program held in Bibirhat, Ramgati. Journalist Rafiqul Islam Montu's home is in the coastal district of Barguna. He has previously received about 15 other national and international awards. At the program, journalist Rafiqul Islam Montu and local MP Abdullah Al Mamun, freedom fighters and 10 others were given special memorials in recognition of their contributions to various fields of society. Chaired by the forum's vice-president Md. Belal and moderated by Saif Rashed, the speakers included Ramgati Upazila Freedom Fighter Commander Hasan Mahmud Ferdous, UP Chairman Tauhidul Islam Sumon, District Council member Mujahidul Islam Didar, community worker Khaled Amin Rashed, teacher Kamal Uddin Osman, expatriate businessman Haji Nazim Uddin, businessman Riaz Uddin, Dhaka University students Hasan Ibn Abdul Qayyum and Masud Sumon, among others.

Journalist Rafiqul Islam Montu's field of work covers 16 districts along the entire coast of Bangladesh. Throughout the year, he visits marginal coastal towns and brings news on various topics including the lives of endangered people, problems, prospects, climate change, environmental conditions, development-underdevelopment, citizen services, education-culture, etc., which he publishes in the media.

It is known that he worked at various times in several newspapers including Daily Prothom Alo, BanglaNews24, Daily Samakal, Daily Kaler Kantho, UNB News Agency, Daily Manabzamin, RisingBD, Daily Bhorer Kagoj, Daily Sangbad, Daily Desh, Daily Janata, Bangladesh Times, Banglabazar Patrika.



North Korea has developed a hydrogen bomb

উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে আরও উন্নত প্রযুক্তির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে তারা। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য এ হাইড্রোজেন বোমাটি পরিদর্শন করেছেন কিম জং উন।

‘ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন’ এই হাইড্রোজেন বোমাটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা যাবে বলে দাবি উত্তর কোরিয়ার।

রোববার সকালে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির সরবরাহ করা এক ছবিতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ক্ষুদ্র সংস্করণের ওই হাইড্রোজেন বোমাটি পরিদর্শন করছেন।

তবে স্বাধীন কোনো সূত্র থেকে উত্তর কোরিয়ার এ দাবির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার হাতে উন্নত প্রযুক্তি থাকার দাবি করলেও বিশেষজ্ঞদের এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। রোববার দেশটির হাইড্রোজেন বোমার ঘোষণা এরইমধ্যে কোরীয় উপদ্বীপ ও ওয়াশিংটনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের দিক দিয়ে তার লক্ষ্যস্থলের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বোমাটি পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্টদের কিছু নির্দেশনা দেন কিম। এ সময় তিনি বলেন, এ বোমার ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতা রয়েছে। শতভাগ দেশীয় তৈরি উপকরণে ও নিজস্ব প্রযুক্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করেই দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ ঘটাচ্ছে। এরইমধ্যে তারা ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।

কিম জং উনের ক্ষমতারোহণের পর থেকেই পরমাণু অস্ত্রের দিকে আরও এগিয়ে যায় দেশটি। এ নিয়ে নিয়মিত হুমকি-ধমকিতে ব্যস্ত ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং। সম্প্রতি কয়েক দফা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন ঘাঁটি গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ঘোষণা দেন কিম। এতে কোরীয় অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।