Threats of 'lifting' at hockey meetings

ক্লাব কাপ হকির সফলতার পর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার হকি লিগ। কিন্তু এই সূচি প্রকাশ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজই মাঠে গড়ানোর কথা ছিল এই লিগের। কিন্তু একটি ক্লাবকে (মেরিনার্স) সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে লিগ বয়কটের হুমকি দেয় ঊষা ক্রীড়া চক্র। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

এই তিন ক্লাবের দাবি ছিল, ৬ মার্চই লিগ শুরু করতে হবে। বিষয়টি সুরাহার জন্য ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে সোমবার রাতে জরুরি সভা ডাকে হকির কার্যনির্বাহী কমিটি। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া মিটিং শেষ হয় রাত সাড়ে ৯টায়। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে চলে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা আর হট্টগোল। যেখানে একে অন্যকে ‘তুলে’ নেওয়া, এমনকি হত্যার হুমকিও দিয়েছেন কেউ কেউ। টেবিল চাপড়ে একে অপরকে গালাগাল করাসহ অপ্রীতিকর অনেক কিছু ঘটেছে বলে মঙ্গলবার সমকালকে জানান মিটিংয়ে উপস্থিত একাধিক সূত্র।

কয়েক দিন আগে শেষ হয়েছে ক্লাব কাপ হকি। দুই বছরেরও বেশি সময় পর নীল টার্ফে খেলা গড়ানোয় হকি অঙ্গনে উন্মাদনা বইছে। কিন্তু লিগ শুরুর আগে চিরাচরিত টেবিলের উত্তাপটা নতুন করে দেখা মিলল। কর্মকর্তাদের মধ্যে আন্তরিকতার ঘাটতি, হকির স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থই যেন বড় হয়ে উঠেছে সবার মধ্যে। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের বোর্ডরুমে গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে লিগের সূচিকে কেন্দ্র করে মারপিটের পর্যায়ে চলে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, রুমের মধ্যেই চেয়ার ছেড়ে উঠে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ক্লাব কর্তাদের কেউ কেউ বারান্দায় গিয়েও হৈহুল্লোড় করতে থাকেন। পাশে গুলিস্তানের রাস্তায় পথচারিরা দাঁড়িয়ে পড়েন। কেউ কেউ গাড়ি থামিয়ে বোঝার চেষ্ট করেন, ঠিক কী হচ্ছিল সেখানে। বৈঠকে উপস্থিত এক ক্লাব কর্তা হতাশ হয়ে বলেন, ‘একটা সূচি নিয়ে এক কথা, দুই কথায় লেগে গেল। সে এক ভয়ানক অবস্থা। এ এরে খুন করতে চায়। সে তারে উঠায়ে নিতে চায়। এত বাজে ভাষা সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে, যা বলার মতো না।’

মূলত ঝামেলাটা হচ্ছে মেরিনার্সের সঙ্গে আবাহনী, মোহামেডান ও ঊষার। মেরিনার্সের দাবি ছিল, তাদের ম্যাচে যদি বিদেশি আম্পায়ার না থাকেন, তাহলে লিগের পুরো সময় দেশি আম্পায়ার দিয়েই খেলা চালাতে হবে। কিন্তু ফেডারেশনের কর্তাদের ভাষ্য হলো, লিগ শুরুর দু-এক দিন পর বিদেশি আম্পায়ার আসবেন। তাতে সায় ছিল ঊষা ক্রীড়া চক্রের। এই আম্পায়ার ইস্যুতেই মিটিং হয়ে ওঠে আরও উত্তপ্ত। আর মিটিংয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে মেরিনার্স ও আবাহনীর কর্তাদের মধ্যেই।

একে অপরকে তুলে নেওয়ার হুমকি এবং খুন করার হুমকি দেন। পুরো ঘটনার চিত্রটা ফোনে আবাহনীর ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের অবহিত করেন মিটিংয়ে উপস্থিত এক কর্মকর্তা। এই অবস্থায় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ চুপ ছিলেন।

এমন ঘটনার জন্য ফেডারেশনের কিছু ভুল সিদ্ধান্তকে সামনে এনেছেন মিটিংয়ে উপস্থিত অন্য এক সদস্য, ‘আসলে এই মিটিংগুলো হয় এজেন্ডা ছাড়াই। কাগজপত্র ছাড়াই। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, একেক ক্লাব একেকটা দাবি তোলে। এত বড় একটা ফেডারেশন, তারা কথা বলবে এজেন্ডার ওপরে। আগের মিটিংয়ের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এর বাইরে তো কথা হতে পারে না। এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ হয় বেশি। আমি দেখে অবাক হয়ে গেছি।

একেকজনের মুখ থেকে যে ভাষাগুলো বের হয়। কালকে একেকজনের আচরণ এবং শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়েছে, হকির কোনো ভবিষ্যৎই নেই। কেউ কাউকে মানছে না। কোনো প্রটোকল নেই। কেউ কাউকে দেখতে পারে না। এটা তো আসলে বোর্ড মিটিং। কোনো ক্লাবের মিটিং না। আর কোনো পাড়ার ক্লাবে এ রকম গালাগাল হতে পারে কিনা, তা নিয়ে আমার সন্দেহ। এটা সরকারি একটা প্রতিষ্ঠান। বোর্ড মিটিংয়ে ভদ্র পরিবেশ এবং অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তা ছিল না।’




Record for fastest bowling in women's cricket

নারী ক্রিকেটে রেকর্ড গতির বোলিং করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার শাবনিম ইসমাইল। প্রথমবার নারীদের ক্রিকেটে ১৩০ কিলোমিটারের বেশি গতি তোলার কীর্তি গড়েছেন তিনি।

বুধবার ভারতের ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) ১৩২.১০ কিলোমিটার গতিতে একটি বল করেছেন প্রোটিয়া এই নারী পেসার। ম্যাচটি অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেছে শাবনিমের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

এর আগে নারীদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির বোলিং ছিল ১২৮ কিলোমিটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ওই গতিতে বোলিং করেছিলেন শাবনিম ইসমাইল-ই। ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ১২৭ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া শাবনিমের দ্রুতগতির ওই বলটির মুখোমুখি হন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার মেগ লেনিং। বলটি তার প্যাডে আঘাত করে। ম্যাচ শেষে প্রোটিয়া এই নারী পেসার বলেন, ‘বল করার সময় বিগ স্ক্রিনে তাকানো হয়নি (কত গতি উঠেছে দেখার জন্য)।’




Sujan wants the report of the World Cup failure to be made public

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত ফল পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বড় মঞ্চে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রায় মাস পাঁচেক পেরিয়ে গেলেও মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ পায়নি। গত ৫ মার্চ  ‘বিশ্বকাপ ব্যর্থতা: দুই পরিচালককে দুষলেন ক্রিকেটাররা’ প্রতিবেদনে উঠে আসে মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না পাওয়ার কারণ। 

বিসিবির একটি সূত্র জানায়, বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে থাকা দু’জন পরিচালকের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন ক্রিকেটাররা। যেটা অস্বস্তিতে ফেলেছিল মূল্যায়ন কমিটিকেও। অভিযুক্ত পরিচালকদ্বয়কে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অনুলিপি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হয়নি বলে জানান তারা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বিষয়টি চেপে গেছেন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে।

শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ বলতে গিয়ে একে অন্যের ওপর দোষ চাপাতে চেষ্টা করেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। বিশ্বকাপে তামিমের না থাকার দায় হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, হাথুরুসিংহে চাননি তামিম বিশ্বকাপ দলে থাকুক।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার অবশ্য তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করার পক্ষে। তবে বোর্ড যদি আড়ালেও সমাধান করতে চায়, তাতেও সমস্যা নেই তার।

বুধবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন তো বিসিবি প্রকাশ করেনি। কোথা থেকে খবরটা এসেছে জানি না। এমন কিছু (হাথুরুর কারণে তামিমের না থাকা) হলে বিসিবি নিশ্চয়ই দেবে। আমি জানি না, এটা প্রকাশ হবে কি, হবে না। যারা তদন্ত করেছেন, তারা সেটি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট স্যারকে। উনি যদি মনে করেন এটা বের করা দরকার, তখনই বোঝা যাবে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা।’

বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক সুজন অবশ্য মনে করেন, তদন্ত প্রতিবেদন সবার সামনে আসা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, প্রতিবেদনে এসেছে, সেটা প্রকাশ করা উচিত। প্রকাশ করলে ভালো। কারণ যদি আমাদের কোনো সমস্যা থাকে সেটা সমাধান হবে। আর বোর্ড যদি মনে করে, এটা প্রকাশ করব না, আমরাই সমাধান করব বোর্ড থেকে, সেটাও হতে পারে। এটা বিসিবির একটা ব্যাপার, প্রেসিডেন্ট স্যারের ব্যাপার। তবে আমি মনে করি না, কারও কারণে ম্যাচ হেরে যায়।’

কারো হস্তক্ষেপ দল খারাপ করতে পারে, এটা মনে করেন না মাহমুদ, ‘এটা দলীয় খেলা, একক কারোর কারণে কিছু হতে পারে বিশ্বাস করি না। পরিকল্পনার সমস্যা থাকতে পারে, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু আমি মনে করি না কোনো ব্যক্তির কারণে ম্যাচ হেরে যাবে বা জিতে যাবে! হ্যাঁ, অনেকেই ম্যাচ জেতায়, কিন্তু আমার মনে হয় খেলা তো মাঠে হয়। বাইরে থেকে তো আপনি এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আমি আসলে এটা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।’




Halland's hat-trick is a big win for Man City

প্রিমিয়ার লিগে আর্লিং হ্যালন্ডের হ্যাটট্রিকে বিশাল জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ফুলহ্যামকে তারা হারিয়েছে ৫-১ গোলে। দলটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন স্ট্রাইকার আর্লিং হ্যালন্ড। 

ম্যাচের প্রথমার্ধ ২-১ গোলে শেষ করে ম্যানসিটি। প্রথমে দলকে লিড এনে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ফুলহ্যাম। 

প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির আগে ডাচ ডিফেন্ডার নাথান একে গোল করে দলকে লিডে রেখে প্রথমার্ধ শেষ করান। 

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় হ্যালন্ড শো। তিনি ম্যাচের ৫৮ মিনিটে নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে বড় জয়ের পথে তুলে নেন। ম্যাচ শেষের ঠিক আগে গোল করে হ্যালন্ড নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। দলের বড় জয় এনে দেন। 




Champions League draw: PSG in the pit of death

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। এতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। ওই তুলনায় চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি, রেকর্ড সংখ্যক ইউসিএল জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এবং তাদের লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা সহজ গ্রুপে পড়েছে।

পিএসজি আছে গ্রুপ ‘এফ’-এ। সেখানে তাদের খেলতে হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান ও প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

রিয়াল মাদ্রিদ পড়েছে গ্রুপ ‘সি’-তে। তাদের প্রতিপক্ষ নাপোলি, ব্রাগা ও ইউনিয়ন বার্লিন। চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি গ্রুপ ‘জি’ তে আছে। তারা বিপক্ষ হিসেবে আরবি লাইপজিগ, জভেজদা ও ইয়াং বয়েজ ক্লাবকে পেয়েছে।

অন্যদিকে বার্সেলোনা আছে গ্রুপ এইচ- এ। তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পোর্ত, শাখতার দোনেস্ক ও এন্টওয়ার্পকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বায়ার্ন মিউনিখ একই গ্রুপে পড়েছে। গ্রুপ এ- তে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ কোপেনহেগেন ও গ্লাতাসারে।

কোন গ্রুপে কোন দল

গ্রুপ-এ: বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, কোপেনহেগেন, গ্যালাতাসারে

গ্রুপ-বি: সেভিয়া, আর্সেনাল, পিএসভি, লেন্স

গ্রুপ-সি: নাপোলি, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাগা, ইউনিয়ন বার্লিন

গ্রুপ-ডি: বেনফিকা, ইন্টার, সালজবার্গ, রিয়াল সোসিয়েদাদ

গ্রুপ-ই: ফেইনুর্ড, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, ল্যাজিও, সেলটিক

গ্রুপ-এফ: পিএসজি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান, নিউক্যাসল

গ্রুপ-জি: ম্যানসিটি, লাইপজিগ, জভেজদা, ইয়াং বয়েজ

গ্রুপ-এইচ: বার্সেলোনা, পোর্তো, শাখতার দোনেস্ক, এন্টওয়ার্প




Pakistan's record win by crushing Nepal

এশিয়া কাপে খেলাই ছিল নেপালের কাছে স্বপ্নের মতো। বাবরকে বোলিং করা, শাহিনের পেস সামলানো উচ্ছ্বাসের। লড়াই করা সেখানে বিলাসিতা। ব্যাটে-বলে ওই লড়াই করতে পারেনি এশিয়া কাপের নবাগত হিমালয় শেরপারা। পাকিস্তান তাদের মাত্র ১০৪ রানে অলআউট করে দিয়েছে। তুলে নিয়েছে ওয়ানডেতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রানের বিশাল জয়।

বুধবার মুলতান স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিতে দু’বার ভাবতে হয়নি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের। প্রত্যাশা মতো তার দল শুরু না পেলেও বিশাল রান করতেও অসুবিধা হয়নি। ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাবর ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪২ রান তোলে পাকিস্তান।

বাবর তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। সাজঘরে ফেরেন শেষ ওভারে ১৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। ওয়ানডের দ্রুততম ১৯ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩১ বলের ইনিংস সাজান ১৪টি চার ও চারটি ছক্কায়। তার সঙ্গে ২১৪ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রানের ইনিংস। প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটাতে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন এই ডানহাতি।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই শাহিন-নাসিমের পেস তোপে পড়ে নেপাল। ১৪ রানে হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। শাহিন আফ্রিদি দুটি ও নাসিম এক উইকেট তুলে নেন।

এরপর ছোট্ট একটা প্রতিরোধ গড়ে নেপাল। মিডল অর্ডারের আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি ৫৯ রানের জুটি গড়েন। হ্যারিস রউফ ওই জুটি ভাঙতেই ধসে যায় সফরকারীরা। দলটির হয়ে আরিফ ২৬ ও সোমপাল ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহিন ও হ্যারিস। ৬.৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ধসিয়ে দেন শাদাব খান।




Saudi offers 150 million for Salah

লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহর জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদ। ওই প্রস্তাবে রেডস শিবির থেকে খুব একটা সাড়া না পাওয়ায় প্রস্তাব ১৫০ মিলিয়নে উন্নীত করেছে সৌদি।

সংবাদ মাধ্যম সিবিএস দিয়েছে এই তথ্য। তাদের মতে, দলবদলের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে সালাহকে সৌদিতে নিতে চায় আল ইত্তিহাদ। তাকে নেইমার-রোনালদোর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে।

লিভারপুলের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন মোহামেদ সালাহ। মিশরীয় এই তারকা অন্য কোথাও যেতে চান না। সালাহ ও তার এজেন্ট সংবাদ মাধ্যমকে তেমনটাই জানিয়েছেন। অন্যত্র যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে চুক্তি নবায়ন করতেন না বলেও উল্লেখ করেছেন তার এজেন্ট।




Spain's 11 coaching staff resign over Rubiales' comments

’পদত্যাগ করবো না, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।’ স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেসের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে স্পেন নারী দলের ১১ জন কোচিং স্টাফ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির

তবে হেড কোচ জর্জ ভিদাল পদত্যাগ করেননি। তিনিও বেশ বিতর্কিত। তাকে ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেস চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন।

পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে স্পেন নারী ফুটবল দলের স্টাফরা জানিয়েছেন, উল্লিখিত কোচিং স্টাফ তাদের পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে। জেনি হেরমোসের প্রতি রুবিয়ালেস যে মনোভাব প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে রুবিয়ালেস ফেডারেশনের দায়িত্বে থাকলে ফুটবল খেলবেন না বলে অন্তত ৮০ জন ফুটবলার হুমকি দিয়েছেন।

এদিকে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ফিফা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।

ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিতের পর পুরস্কার নিতে যখন নারী দলের ফুটবলাররা একে একে স্টেজে উঠছিলেন, সে সময় সকলকেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এ সময় আনন্দে আপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কোলেও তুলে নেন তিনি। স্পেনের সংস্কৃতি অনুযায়ী যা অতি স্বাভাবিক দৃশ্য।

তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন রুবিয়ালেস। অন্যদের তুলনায় হারমোসোকে দীর্ঘ সময় আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালেস। দুহাতে জড়িয়ে উঁচুতেও তুলে ধরেন। একে অপরের সঙ্গে কথাও বলেন। একপর্যায়ে হারমোসোকে জাপটে ধরে ঠোটে চুমু খান স্পেন ফুটবল প্রধান। মুহূর্তে এই দৃশ্য ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এমন কাণ্ড ঘটিয়ে সমালোচনার শিকার হন স্পেন ফুটবল প্রধান। হারমোসোকে ঠোঁটে চুম্বনের ঘটনায় রুবিয়ালেসের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। যদিও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চুম্বনের ঘটনাটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, পারস্পরিক, উচ্ছ্বসিত ও সম্মতিসূচক। রুবিয়ালেস এও দাবি করেন, ভুয়া নারীবাদীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে।

যদিও হারমোসো শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চুম্বনে তার মোটেও সম্মতি ছিল না। এ ঘটনায় তিনি নিজেকে অরক্ষিত ও আগ্রাসনের শিকার হিসেবে অনুভব করেছেন।

এদিকে সভাপতি রুবিয়ালেসকে আগলে রাখছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই উল্টো বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের মন্তব্যের কারণে ক্ষেপেই গেছে ফেডারেশন। যে কারণে হারমোসোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।

রোববার এক বিবৃতিতে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন জানায়, বিশ্বকাপজয়ী ওই নারী ফুটবলার লুইসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সত্য নয়। লুইস রুবিয়ালেস মিথ্যা বলেননি। হারমোসোর এমন অনভিপ্রেত অভিযোগের ফলে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বিব্রত বোধ করছেন।




Citizens pushed Chelsea again

Graham Potter gave a message to get everything sorted out quickly after Thomas Tuchel left. His team was going through ups and downs in the league matches. However, the Blues played well in the Champions League. Chelsea, who were caught in Nottingham in the previous match in the league, had to play their best against Manchester City at home.

They played perhaps their best game against last season's league champions, but Riyad Mahrez's 63rd-minute goal gave Manchester City a 1-0 win at Stamford Bridge, moving Pep Guardiola's side five points clear of league leaders Arsenal.

Manchester City played better than Chelsea at Stamford Bridge. They had more possession of the ball. They had three shots on goal and one in the net. They had six shots on target. Chelsea had two good shots but no goals. Their three attacks failed. 

Manchester City became only the second team in Premier League history to win four matches against Chelsea in all competitions. Bolton Wanderers won four consecutive matches against Chelsea between 1958 and 1960. The defeat to Manchester City saw the Blues drop to 10th in the league table.




United win the Manchester derby

ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ নাটকীয় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ২-১ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। পিছিয়ে পড়েও চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এরিক টেন হাগের শিষ্যরা। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে পেপ গার্দিওলার দল।

ম্যাচের ৩০ শতাংশ সময় বল দখলে এগিয়ে ছিল ম্যান ইউনাইটেড। যদিও একের পর এক আক্রমণ করলেও জালের দেখা না পাওয়ায় গোলশূন্য ছিল প্রথমার্ধ। এ অর্ধে ইউনাইটেড দুটি শট লক্ষ্যে রাখলেও সিটি পারেনি একটিও।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলে সিটি। ৫৭ মিনিটে ফিল ফোডেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জ্যাক গ্রিলিশ। মাঠে নামার ৩ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যান ম্যানচেস্টার সিটির এ ইংলিশ তারকা। মাহরেজের কাছ থেকে বল পান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনে। পরে ব্রুইনের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল আদায় করেন গ্রিলিশ।

কিন্তু সেই লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি সিটি। পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ৭৮ মিনিটে ক্যাসেমিরোর পাস থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করলে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। 

এর দুই মিনিট পর গার্নাচোর এসিস্টে ইউনাইটেডের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মার্কাস রাশফোর্ড। এ নিয়ে টানা সাত ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন রাশফোর্ড।  রোনালদোর (২০০৮ সাল) পর ইউনাইটেডের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। বাকি সময়ে রক্ষণ আগলে রেখে জয় নিশ্চিত করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।