Allegations of insulting a brave freedom fighter in Faridpur
Faridpur Correspondent-
ফরিদপুরের বোয়ালমালী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকোমরা গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) একেএম বাচ্চু মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি (ইউএনও) থানা অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অনুরোধ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার একেএম বাচ্চু মিয়া (৭৩) প্যারালাইজড হয়ে মাইটকোমরা গ্রামের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাড়ির জমিজমা নিয়ে ছোট ভাই রঙ্গু সিকদারের পরিবারের সাথে ঝামেলা রয়েছে। এর জের ধরে বিভিন্ন সময় রঙ্গু সিকদারের স্ত্রী ও মেয়েরা তাকে অপদস্থ ও লাঞ্চিত করে থাকে। সম্প্রতি ইট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রঙ্গু সিকদারের মেয়ে লিটা, ইভা, সুরমি ও তাদের মা বিউটি বেগম বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলে সাইফুলে উপর আক্রমন করে।
এ সময় বাচ্চু মিয়ার দাড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। পরনের লুঙ্গী খুলে ফেলে দিয়ে লজ্জাস্থানে আঘাতসহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাকে বাচানোর জন্য তার ছেলে সাইফুল ইসলাম একটা ডাল নিয়ে মেয়েদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। বাচ্চু মিয়া তখন বাড়ির বাইরে পড়ে থাকেন। প্রতিবেশি মজিবর সিকদার এসে তাকে (বাচ্চু মিয়া) উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে যায়। দুর্র্ধষ প্রকৃতির এ সব মেয়েদের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানান তিনি।
একেএম বাচ্চু মিয়া বলেন, মাঝেমধ্যেই তারা আমাদের উপর আক্রমন করে। তারা খুবই দুর্র্ধষ প্রকৃতির। তারা এলাকার মাতবর, চেয়ারম্যান মেম্বারদেরও মানেনা। তাদের অত্যাচারে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। লুঙ্গী খুলে ফেলার কথা স্বীকার করে লিটা বেগম বলেন, তারাও দুর্র্ধষ প্রকৃতির লোক। মারামারি করার সময় হয়তো টানটুন লেগে লুঙ্গী খুলে গেছে। ইচ্ছা করে খুলিনি। সাইফুল বাড়ি দিয়ে তার এক বোনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সে এখন ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আছে । এক পক্ষের যেহেতু একজন আহত আছে সেহেতু তাদের বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের বলেছি আমার বরাবর অভিযোগ দিতে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।