Human chain protesting attack on journalists in Baniyachang today

জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধ:

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিশ্বখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসত বাড়ির তথ্য সংগ্রহকালে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক রাজীব নুরসহ চার সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন বানিয়াচংয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১.টায় স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে ওই প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। বানিয়াচংয়ের কর্মরত সকল সাংবাদিক,নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সকল পেশার মানুষকে প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করার আহবান জানানো হয়েছে। জানা যায়,বিশ্বখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসত বাড়িটি দীর্ঘদিন যাবত দখল করে রেখেছে ২নং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বিদ্যাভূষণ পাড়া গ্রামের স্থানীয় দাঙ্গাবাজ ওয়াহেদ বাহিনী।

দখলকৃত বাড়িটির বিষয়ে গত (১১সেপ্টেম্বর) রবিবার বিকালে ঢাকা থেকে বানিয়াচং আসেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও বিডি নিউজ ২৪.কমের স্পেশালএ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নুর। তিনি স্থানীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ও কালের কন্ঠের বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ মিয়া, সমাচার প্রতিনিধি তৌহিদ মিয়া এবং দেশসেবা প্রতিনিধি আলমগীর রেজাসহ সরেজমিন রামনাথ বিশ্বাসের বসত বাড়ির তথ্য সংগ্রহকালে ভূমিদস্যু ও রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দখলকারী ওয়াহেদ বাহিনীর হামলার শিকার হন।

পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাণে বাঁচেন।আহত সাংবাদিকরা বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেয়ার পর বানিয়াচং থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সোমবার বিকাল ৪.টায় হামলার সাথে জড়িত ওয়াহেদ বাহিনীর ওয়ালিদ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে হামলাকারীদের মূলহোতা ওয়াহেদ মিয়া ও তার বাহিনী। অপরদিকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক রাজীব নুরসহ চার সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় রাজধানী ঢাকা,হবিগঞ্জসহ সারাদেশে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসত বাড়ি দখলমুক্ত করতে জোর দাবী জানানো হয়েছে। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকরা মিলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে।




Elderly man dies in attack at arbitration meeting in Banyachong

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়কান্দি গ্রামে এক সালিশ বৈঠকে নেওয়াজ আলী(৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।তবে এই মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

কেউ বলছে স্ট্রোক করে মারা গেছেন, আবার কেউ বলছেন হাতাহাতি করার সময় আঘাতজনিত কারণে মারা গেছেন। বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মন্নর আলীর পুত্র। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বড়কান্দি বাজারে শহিদ মিয়ার চায়ের দোকানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউসুফ আলী ও জহুর আলীর মধ্যে বিরোধ নিয়ে সালিশ হয়।এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে।এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এতে নেওয়াজ আলী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তবে কেউ কেউ বলছেন নেওয়াজ আলী হাতাহাতির কারণে আঘাত পেয়ে মারা গেছেন,আবার কেউ বলছেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।তবে ৩য় পক্ষের লোকজন বিষয়টি নিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, জরুরি খাতায় বড ডেট অর্থাৎ রোগী আসার আগেই রাস্তায় মারা গেছে।

বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান,এক সালিশে উত্তেজনা দেখা দিলে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়।এরপর নেওয়াজ আলীকে হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরন করে। তবে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।