Two people, including a magistrate, testify in Anant's murder case

সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ দু’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হক ও পূবালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিরাজুল হক চৌধুরী।
এই মামলার অন্যতম আসামি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছিলেন আনোয়ারুল হক। অন্যদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুল হক নিহত অনন্ত বিজয়ের বাসার কম্পিউটারের সিপিইউ ও কয়েকটি বইয়ের জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন। এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রে সর্বমোট ২৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।
বুধবার দু’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমিন বিপ্লব দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন।
২০১৫ সালের ১২ মে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানী আবাসিক এলাকায় নিজ বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এসব কারণে ‘নাস্তিক’ ট্যাগ দিয়ে তাকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার আসামিরা হলো- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন, খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের মামুনুর রশীদ, কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এবি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন, কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ও সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার এলাকার সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান।