Unauthorized permission to enter the UNO room

সরকারের সব সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে এবং উপজেলা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমাতে প্রশংসনীয় ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়।

তিনি নিজের কার্যালয়ের সামনে সাঁটিয়েছেন একটি নেমপ্লেট। নেমপ্লেটের পাশে লেখা রয়েছে ‘অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই, জুতাসহ প্রবেশ করুন।’

এই নোটিশ সাঁটানোর পর পুরো উপজেলায় বেশ সাড়া পড়েছে। এখন যেকোনো প্রয়োজনে কৃষক-শ্রমিকসহ প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে কড়া নাড়ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দরজায়। নিজেদের কষ্টের কথা তারা বলছেন তাদের প্রিয় ইউএনওর সঙ্গে। যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সেবাও পাচ্ছেন তারা। বর্তমানে সর্বমহলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইউএনও সুজন চন্দ্র রায়।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম বাবু বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণত যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা ডিঙাতে না পারায় দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ প্রশাসনের সেবা থেকে বঞ্চিত হন। তারা অনেক সময় নিরুপায় হয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন; কিন্তু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এর উল্টো চিত্র। কার্যালয়ের সামনে সাঁটানো নেমপ্লেটের পাশে লেখা অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই, জুতাসহ প্রবেশ করুন। এই বার্তা উপজেলায় সেবা নিতে আসা মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়িয়েছে। উপজেলার ইতিহাসে ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় কর্তৃক এটি একটি প্রশংসনীয় ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

চৌয়ারা ইউনিয়নের পিপুলিয়া এলাকার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি উপজেলায় যোগদানের অল্প কিছু দিনের মধ্যে যেভাবে সবার ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছেন, এটি বিরল। উনার মতো ভালো লোকের কারণেই দেশ উন্নতির শিখরে আরোহণ করবে। এ রকম অফিসারের জন্য মন থেকে ভালোবাসা।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায় বলেন, মানুষের সেবা করার জন্যই সরকার আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমার এখানে আসতে অনুমতি লাগবে কেন? অনুমতি ছাড়া সবাই যেন আমার কাছে আসতে পারেন, এজন্যই আমি আমার নেমপ্লেটের পাশে কথাগুলো লিখে দিয়েছি। এছাড়াও আমি এই উপজেলায় যোগদানের পর সেবা নিতে আসা অনেককেই দেখতাম জুতা খুলে অফিসে প্রবেশ করছেন। বিষয়টি দেখে ব্যথিত হয়েছি। এজন্য আমার নেমপ্লেটের পাশে জুতাসহ প্রবেশ করুন লিখে দিয়েছি।