Argentina has never lost in the semi-finals in World Cup history.
টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। কিন্তু সেই জয়রথের দৌড়ে বাধা হয়ে দাড়ায় সৌদি আরব। অপরদিকে সেই ম্যাচে লিওনেল মেসিদের হোচটের পরের সৌদি কোচ হার্ভি রেনারে জানিয়েছিলেন, ‘আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব পার করবে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতবে।’ হয়তো শেষ পর্যন্ত তার কথায় সত্য হতে যাচ্ছে। সেই ভবিষ্যৎ বাণীকে সত্য প্রমাণ করার একদম দ্বারপ্রান্তে আলবিসেলেস্তারা।
আর মাত্র ২টি ম্যাচ পার করতে পারলেই মরুর বুকে সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন মেসি-ডি মারিয়ারা। আপাতত সেমিফাইনাল বাধা টপকাতে হবে স্কালোনিদের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া। তবে অতীতের পরিসংখ্যান বলছে ‘সেমিতে কখনো হারেনি আলবিসেলেস্তারা।’ কারণ, সেমিফাইনাল মানেই আর্জেন্টিনা ফেবারিট! অন্তত অতীত পরিসংখ্যান সেই কথা বলে আর্জেন্টাইনদের। কাতার বিশ্বকাপের আগে এ পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে মেসিরা। যার একটিতেও হারের মুখ দেখতে হয়নি তাদের। প্রথমে ১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপে এরপর ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে ও সর্বশেষ ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রত্যেকটিতে সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। যার কোনটাতেই পরাজয়ের নাম নেই লাতিন আমেরিকার দেশটি।
১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ
সেইবার আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল খেলেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তবে সেই বিশ্বকাপে হট ফেবারিট ছিলেন মার্কিনরা। লড়াইয়ে আগে তারাই ছিল এগিয়ে। কিন্তু সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যায় ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ
এই আসরে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ চারে লড়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। তবে ফুটবলের বরপুত্রের অনন্য ফুটবল প্রদর্শনীতে ‘রেড ডেভিলদের’ বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় আলবিসেলেস্তারা। সেবার ম্যারাডোনা একাই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ।
১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ
ইতালি আসরে স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালের পুরো ১২০ মিনিটে ১-১ গোলের ব্যবধানে ড্র করে আর্জেন্টিনা। তবে পেনাল্টি শুট আউটে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গয়কোচিয়ার অসাধারণ নৈপুন্যে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় পায় তারা।
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ
নেদারল্যান্ডসের সাথের সেমিফাইনালের ১২০ মিনিটই ছিল পুরোপুরি গোলশূন্য। অরেঞ্জদের বিপক্ষে পুরো খেলায় নিজের ছায়াকেই যেন খুঁজে ফিরছিলেন মেসি। তবে গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর নৈপুণে সেদিনের দারুণ সব সেভের পর টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দেন দু-দুটি শট। তাতেই আলবিসেলেস্তাদের জন্য খুলে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালের দরজা। আগামী ১৩ নভেম্বর রাত ১ টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া মহারণ দিয়ে শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ চারের প্রথম লড়াই।