Lakshmi Puja celebrated in a festive atmosphere in Lakshmipur
Pradeep Kumar Roy:
লক্ষ্মীপুরের সোমবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা উদযাপন করা হয়েছে। দিনভর পুরোহিত ঠাকুর দিয়ে কোথাও কোথাও পূজা শেষ হয়েছে। আবার কোথাও রাতে পূর্ণিমা থাকা পর্যন্ত চলবে পুজোর আনুষ্ঠানিকতা।
বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপের পাশাপাশি ঘরে ঘরে সকালে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘর-বাড়ির আঙিনায় আঁকা হচ্ছে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জালন করা হয়েছে।
সনাতন ধর্মের ভক্তবৃন্দের বিশ্বাস ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী। তিনি ঈশ্বরের পালন রূপ শক্তি নারায়ণী। যাকে ভক্তরা ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী অন্নদাত্রী দেবীরূপে পূজা করেন। তবে এই ধন শুধু পার্থিব ধন নয়, চরিত্র, ধন ও সর্বাত্মক বিকাশেরও প্রতীক। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যার যার সাধ্যমত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করেন। সাধারণত প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করা হয়। পারিবারিক লক্ষ্মীপূজায় লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করে পূজার্চনা করা হয়। কিন্তু আজকের পূজার রয়েছে বিশেষ বিশেষত্ব। আজকের পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামে পরিচিত। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী পদ্মফুলের উপর উপবেশন করে থাকেন। সাধারণত লক্ষ্মীপূজা পঞ্চোপচার, দশোপচার বা ষোড়শোপচারে করা হয়ে থাকে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গৃবধূরা উপবাস ব্রত করে থাকেন। অনেকে রাতে আবার কেউ কেউ দিনের আলোতেই পুজো শেষ করেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।
রায়পুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হরিপদ পাল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দঘন পরিবেশে এবার পুজা করেছি। ঈদে মিলাদুন্নবী ও পুজা একই দিনে পড়ায় প্রতিটি সংখ্যা লঘু পরিবারই কিছুটা মানসিক চাপ থাকলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।