একসঙ্গে চলতে চলতে কখনো যদি সঙ্গী হাত ছেড়ে দেয়, যদি সম্পর্কের সুতোটা মাঝপথে ছিড়ে যায়, তাহলে এর কষ্ট মেনে নেওয়া অনেক কঠিন। সম্পর্ক ভাঙলে যতোটা না খারাপ লাগে, তার চেয়ে বেশি খারাপ লাগে তার অনুপস্থিতি, তার সঙ্গে যোগাযোগ না থাকা। অনেক দিনের অভ্যাসে পরিবর্তন আসায় মাঝরাতে বুকটা হাহাকার করে ওঠে। মনে হয় তাকে ছাড়া পুরো পৃথিবীটা শূন্য। কিন্তু আপনি তো সম্পর্কে নেই। সঙ্গী আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে। এটাই বাস্তব।
বাস্তব যতো কঠিন হোক, তাকে মেনে নিতেই হবে। অনেক সময় এমনও হয়, আপনার প্রিয় মানুষটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। কিন্তু আপনি এখনো সেই একই জায়গায় পড়ে আছেন। তাকে ভেবে কান্না করছেন, বার বার তাকে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফলো করছেন। এবার থামতে হবে। মুভ অন করতেই হবে। আপনাকেও জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রাক্তনকে ভুলে নিজেকে সামলাতে যা করবেন
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ব্লক করুন
ব্রেকআপ হওয়ার পর ঘন ঘন প্রাক্তনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করা, তার প্রতিটি পোস্ট ফলো করা, তার পোস্টে কে কে লাইক-কমেন্ট করছে তা দেখা বন্ধ করুন। তার সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সুতরাং তাকে ফলো না করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্লক করে দিন।
ক্ষমা করতে শিখুন
মানুষ মাত্রই ভুল। সম্পর্কে থাকাকালীন আপনারা দুজনই কিছু না কিছু ভুল করেছেন। সব ভুল ক্ষমা করে দিন। যদি প্রাক্তনের ভুল ক্ষমা করে দিতে পারেন, আপনিই সুখী থাকবেন। এতে জীবনে চলার পথে আঘাত কম পাবেন। যদি প্রাক্তন ফিরতে চায়, তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা আপনার জন্য ভালো আর কোনটা নয়।
ভালোবাসা ভুল নয়
আপনি তাকে এখনো ভালোবাসেন। কিন্তু তিনি ভালোবাসেন না। এতে কোনো ক্ষতি নেই। বরং, এই ভালোবাসাটাকে সম্মান করতে শিখুন। এক তরফা ভালোবাসায় কষ্ট আছে ঠিকই, কিন্তু কোনো ভুল নেই। আপনি যদি কাউকে ভালোবাসেন, তা হলে গর্ববোধ করুন। ভালোবেসে কষ্ট পাবেন না।
বাস্তবকে স্বীকার করুন
সম্পর্কে বিচ্ছেদ হতে পারে। দুজন মানুষের মধ্যে মনোমালিন্য হতেই পারে। যে মানুষটা কাল সারাক্ষণ আপনার খবর নিতো, সে আজ খোঁজও নেয় না। এমন হওয়াও স্বাভাবিক। শুধু আপনাকে বাস্তবটা গ্রহণ করতে হবে। সত্যিকে এড়িয়ে গিয়ে লাভ হবে না। বরং, বাস্তবকে মেনে নিলে জীবনে সামনে এগিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
নিজেকে ভালোবাসতে ভুলবেন না
সঙ্গী ছেড়ে গেছে বলে আপনি নিজেকে ভালোবাসতে ভুলে যাবেন, তা যেন না হয়। বরং নিজেকে ভালো রাখুন। আপনার যা করতে ভালো লাগে, যেসব কাজ আপনাকে আনন্দ দেয় সেগুলো করুন। নিজের জন্য বাঁচতে শিখুন।