ভালোবাসায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে জাপানের কিশোর-কিশোরীরা। এতে জন্মহার কমে বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি জাপান সোসাইটি ১২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি জরিপ করে। সেখানে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরদের মধ্যে ৮০ শতাংশ এখনও ভালোবাসায় জড়ায়নি। আর মেয়েদের মধ্যে এই হার ২৫ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের পর এটিই ছিল সবচেয়ে কম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ এবং শারীরিক সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশটির নিম্ন জন্মহার এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে এটা দেশের কার্যক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এ ছাড়া কিছু গবেষক বলছেন, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১২ কোটি ৫০ লাখ থেকে শতাব্দীর শেষ নাগাদ ৫ কোটি ৩০ লাখে নেমে যেতে পারে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জাপানে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশটির ১০ শতাংশ মানুষ এখন ৮০ বছর বয়সী।
জাপানে প্রতিনিয়ত জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে। এ জন্য আরও বেশি সংখ্যক নারী কর্মজীবনে যুক্ত হচ্ছে। আগ্রহ হারাচ্ছে বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে। অন্যদিকে জন্মনিরোধক ব্যবস্থার সহজলভ্যতাও জন্মহার হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে জাপানের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। বিবিসি।