সিলেট ও সুনামগঞ্জের চারটি সীমান্ত দিয়ে ৮২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বাংলাদেশে প্রবেশের পর পরেই ৮২ জনকেই আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ভোর পর্যন্ত তাদের পুশইন করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ৩২ জন শিশু রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৬৯ জন কুড়িগ্রাম জেলার, ৯ জন যশোর জেলার ও চারজন বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা বলে জানয়েছে বিজিবি।
বিজিবি-৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হক জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে পাঁচ পরিবারের ৩২ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, ১০ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। যাদের মধ্যে ১৯ জন কুড়িগ্রাম জেলার, যশোরের ৯ জন এবং বাগেরহাটের চারজন।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর একই উপজেলার ঝিংগাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ছয় পরিবারের আরও ২০ জনকে পুশইন করা হয়। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ, সাতজন করে নারী ও শিশু রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় বলে জানা গেছে।
এদিকে, বুধবার ভোর ৬টার দিকে জৈন্তাপুরের কদমখাল এলাকা দিয়ে ১৪ জনকে পুশইন করা হয় বলে জানিয়েছেন বিজিবি-১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল জুবায়ের আনোয়র। তিনি জানান, কদমখাল দিয়ে বাংলাদেশে আসাদের মধ্যে পাঁচজন করে পুরুষ ও নারী এবং চারজন শিশু রয়েছে। তারা সকলেই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের নয়াকোট বিওপি এলাকায় ছনবাড়ি সীমান্ত দিয়ে পাঁচ পরিবারের আরও ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এর মধ্যে পাঁচজন করে পুরুষ ও নারী এবং ছয়জন শিশু রয়েছে। তারাও কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিজিবি বলছে, আটককৃতদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে এবং পরবর্তীতে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত ১৪ ও ২৪ মে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে যথাক্রমে ১৬ ও ২১ জন এবং ২৫ মে বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।