মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি আসলে শান্তিবাদী কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ জন্য প্রশ্ন উঠেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিশ্বে ট্রাম্প কী শান্তি ফেরাতে পারবেন।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ইয়েমেনে গণহত্যার জন্য সৌদি বহুজাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে সৌদি আরব ও আমিরাতে বোমা ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কয়েকবার পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি তৈরি করেছিলেন। ইরানের সঙ্গে মার্কিন বিরোধ চরমে উঠেছিল। ভিনেজুয়েলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। বলকান ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে মার্কিন সামরিক ব্যয় বাড়ানো হয়েছিল।
ট্রাম্প বিদেশে যুদ্ধ-সহিংসতায় সবসময় উৎসাহ দিতেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ তিনি উদযাপন করেছিলেন। তাছাড়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা ও লেবাননে হামলা করতে ইন্ধন যুগিয়েছিলেন। সেই ট্রাম্প গত শুক্রবার এক নির্বাচনী সমাবেশে ঘোষণা দেন, ‘আমরা পৃথিবীতে শান্তি চাই’।
ট্রাম্প প্রায়ই অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ নেতারা যুদ্ধবাজ। তিনি কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্বে হত্যাকাণ্ড বাড়বে। এমনকি কমলা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি নিয়ে যাবেন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ উইন উইদাউট ওয়ারের নির্বাহী পরিচালক সারা হাগদুস্তি মনে করেন, ট্রাম্প নিজেকে শান্তিবাদী প্রার্থী হিসেবে জাহির করেছেন, যা একেবারেই অযৌক্তিক। হাগদুস্তি বলেন, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি ছিন্ন করেন ও বেপরোয়াভাবে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।
এদিকে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে রাশিয়া ইউরোপের দিকে আক্রমণাত্মক হাত প্রসারিত করতে পারে। এতে বিশ্বশান্তি চরম হুমকিতে পড়বে। খবর হাফপোস্টের।