বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা

প্রকাশঃ

Spread the love

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। হোম অব ক্রিকেটের উত্থানের আগে এটিই ছিল ক্রিকেটের সব! সেই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস টার্ফে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা দৌড়ে-দৌড়ে যাচাই করেছেন নিজেদের ফিটনেসের অবস্থান।

শনিবার কাক ডাকা ভোরে ক্রিকেটার-কর্মকর্তারা হাজির হন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। যেটা মূলত নতুন ফিজিও নাথান ক্যালির মস্তিস্কপ্রসূত। বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা দেখতে মূলত এই ব্যবস্থা। ৩৫ ক্রিকেটার অংশ নেন ১৬০০ মিটার ও ৪০ মিটার স্প্রিন্টে।

ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়া্র পেছনে আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নেই, তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ ওইভাবেই ক্যালকুলেট করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

ক্রিকেটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন এই দৌড়ে। দুই দলে ভাগ হয়ে দৌড়েছেন সব ক্রিকেটার। ১৬০০ মিটার সবার আগে পার হন দুই তরুণ পেসার নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব। এখানেই দৌড়ে শেষ নয়, মিরপুর জিমনিশিয়ামে ক্যালির অধীনে চলবে নানা সেশন।

বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মাত্র দুই ক্রিকেটারের। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন তরুণ মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া খেলেছেন মুশফিকুর রহিমও। ক্রিকেটার থেকে বোর্ডের কর্তা হওয়া শাহরিয়ার নাফিস ও নাফিস ইকবালও খেলেছেন এই মাঠে, দুজনে উপস্থিত ছিলেন আজ।

স্মৃতিরোমান্থন করতে গিয়ে শাহরিয়ার বলেন, ‘১৯৯৪ সালে প্রথম এই মাঠে আসি আমি। অনেক আইকন ক্রিকেটার এখানে খেলতেন। তাদের দেখতে মাঠে আসতাম। ২০০৪ সালে আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এ মাঠে খেলেছি, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলাম। তখন হয়তো বুঝিনি। কিন্তু এখন বুঝি সেই ইনিংসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বন্ধুবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রত্যেকটা ইঞ্চি ইতিহাস বহন করে। আমাদের প্রজন্মের খেলোয়াড়, শুধু ক্রিকেটার নয়, অন্য খেলার খেলোয়াড়রাও এ কথা বলবে।’

‘যারা একদম নতুন প্রজন্ম, তারা হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশেপাশে। তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, নরমালি সকাল ছয়টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আসার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল’-আরও যোগ করেন শাহরিয়ার।

এছাড়াও ট্রেনিং সেশনে উপস্থিত ছিলেন দেশী ট্রেনার মীর ইফতি খায়রুল ইসলাম। যিনি সম্প্রতি জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ইফতি বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কি। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে। এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে তা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।

image_pdfimage_print

সর্বশেষ

জনসাধারণের চাপের ফলে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্লগারের গ্রেপ্তারের ঘোষণা

0
নাজিয়া জাহান অনি, যার ব্লগিং দিন দিন অস্থিরতার জন্ম দিয়েছিল, তাকে এখন একজন ওয়ান্টেড ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ব্লগার তার ওয়েবসাইট www.dailyvision.net-এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান...

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

0
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া সংলাপ আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার...

একটি অর্থবহ নির্বাচন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: রিজওয়ানা

0
রাজনৈতিক সহিংসতার শিকারদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘একটি...

হজ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি করলে আইনের আওতায় নিয়ে আসব: ধর্ম উপদেষ্টা

0
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা হজকে এবাদত হিসেবে গ্রহণ করেছি। এখানে কেউ দুর্নীতি করলে আমরা তাকে আইনের...

ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য কী?

0
ইতালি থেকে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ইতালির প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে একটি সম্মতিপত্র সই করেছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)...