সম্প্রতি ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ইসলামবিরোধী সিলেটি ব্লগার মোসাম্মত আফসানা আহমেদ বুসরা এবং তার উস্কানিমূলক ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভে একত্রিত হয়ে জনসমাগম ঘটায়—ইসলাম, নবী মুহাম্মদ এবং শ্রদ্ধেয় পণ্ডিতদের উপর ঘৃণ্য আক্রমণের প্রতিবাদে তাদের ক্রোধের প্রতীক হিসেবে মহিলা ব্লগারের ছবি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
ব্লগারদের ওয়েবসাইট www.peoplewithoutwalls.com-এ প্রকাশিত প্রকাশনাগুলি অস্থিরতার সৃষ্টি করে, যেখানে তিনি দাবি করেন যে তিনি শৈশবে ধর্মীয় শিক্ষকের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তার পোস্টগুলিতে ইসলামী শিক্ষকদের উপর ব্যাপক শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ইসলামিক মতবাদের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে, যার মধ্যে স্বয়ং নবী মুহাম্মদের উপর আরোপিত বক্তব্যও রয়েছে—এমন বক্তব্য যা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে।
পরিস্থিতির তীব্রতা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেছে। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে তারা সক্রিয়ভাবে ব্লগারকে অনুসরণ করছেন, যার পরিচয় জানা গেছে এবং যিনি বর্তমানে বিদেশে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর, তাকে “গ্রেফতারযোগ্য অপরাধ” নামে পরিচিত আইনের অধীনে হেফাজতে নেওয়া হবে, যা উস্কানি, ধর্ম অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির হুমকির সাথে জড়িত অপরাধের জন্য “গ্রেফতারযোগ্য অপরাধ” নামে পরিচিত।
এই পদক্ষেপ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিক্রিয়ায় একটি বড় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, যা স্পষ্ট করে যে কর্মকর্তারা ব্লগারের বিতর্কিত বিষয়বস্তু এবং এর ফলে সৃষ্ট বিস্ফোরক জনপ্রতিক্রিয়া উভয়কেই কতটা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন।