রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘নজরুল উৎসব ২০২৪’। বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা, গুলশান সোসাইটি ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার আয়োজিত এ উৎসব উদ্বোধন করবেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তৃতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে এই উৎসব ।
এতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় অর্ধশত শিল্পী গান পরিবেশন করবেন। বুধবার সকাল সাড়ে এগারটায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে আয়োজকরা।
ওই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নজরুল সংগীত সংস্থা’র সাধারণ সম্পাদক ও উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক খায়রুল আনাম শাকিল। এ সময় অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য রাখেন গুলশান সোসাইটির সভাপতি ওমর সাদাত,উৎসব সমন্বয়ক হিতাংশু চক্রবর্তী,কল্পনা আনাম, নজরুল সংগীত সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসবে থাকবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। খায়রুল আনাম শাকিল, ইয়াসমিন মুশতারী, নাশিদ কামাল, ফেরদৌস আরা সহ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নজরুল সঙ্গীত শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।
ভারত থেকে গান শোনাতে আসবেন মনোময় ভট্টাচার্য্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত তুষার দত্ত, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, পায়েল কর, দেবারতি চক্রবর্তী। এছাড়া সারা বাংলাদেশ থেকে আরও অনেক খ্যাতিমান শিল্পীরাও গাইবেন এই আয়োজনে।
প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবে শুদ্ধ সুর ও বাণীতে গীত ১২৫টি নজরুলের গান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউটিউবে প্রকাশ পাবে। পেশাদারী যন্ত্রাণুষঙ্গসহ রেকর্ডকৃত এই গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কণ্ঠশিল্পীরা।
উৎসব কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, ‘‘আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে শুদ্ধভাবে পৌঁছে দেয়া সময়ের দাবি। শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুল সঙ্গীত প্রচারের জন্য চলমান যে কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, তার সাথে বৃহত্তর জনসমাজের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আমরা প্রতিবছর ‘নজরুল উৎসব’-এর আয়োজন করে আসছি। আমাদের উদ্দেশ্য, এই উৎসবের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় কবির আদর্শ এবং অসাম্প্রদায়কি চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে প্রসারিত ও বিকশিত করা।
তিনি আরও বলেন, ‘নজরুলের গানের বিকৃতি রোধে নানা চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ মিশন সম্পূর্ণভাবে সফল হয়নি। কিন্তু আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ উৎসব নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে উৎসাহ জোগাবে। তারা আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারবেন। তাঁর জীবনদর্শন, মানুষ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন, সংগীতে কী অবদান রেখে গেছেন তা জানবেন সবাই।’
উৎসবের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে শান্তা হোল্ডিংস। প্রতিষ্ঠানটির সিইও এম হাবিবুল বাসিত বলেন,‘এরকম একটা ভালো উদ্যোগকে সহায়তা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের জাতীয় কবির সাহিত্য ও সঙ্গীতকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এ কারণে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শান্তা হোল্ডিংস সামাজিক কল্যাণ ও সংস্কৃতি উন্নয়নের ব্যাপারে নিজের দায়িত্বকে গভীর গুরুত্ব দেয়। ’